E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কেঁচো খুঁড়তে সাপের গর্ত, কে এই আলম মোল্লা?

২০২২ মার্চ ০৬ ১৫:৩০:১৬
কেঁচো খুঁড়তে সাপের গর্ত, কে এই আলম মোল্লা?

পাথরঘাটা প্রতিনিধি : ৬ মার্চ রবিবার বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আসমত আলী হাওলাদারের ছেলে আমির হোসেন সেলিম হাওলাদার একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

ওই সংবাদ সম্মেলনে সেলিম তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ৭নং ওয়ার্ডের নূর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে আলম মোল্লা বিয়ের প্রলোভনে শিরিন বেগম নামক জনৈক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এবং অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে নিজের অপরাধ আড়াল করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

লিখিত বক্তব্যে সেলিম বলেন, আলম মোল্লা একজন নারী লোভী, জলদস্যু ভূমিদস্যু ও মাদক কারবারি। শিরিন বেগম নামক ওই নারীর সঙ্গে তার অশ্লীল ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে পরেছে। সংবাদ সম্মেলনে সেলিম বলেন ১৯৯০ সালে সে একজন রিকশাচালক ছিল। এরপরে মাছ ধরা ছেলেদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সুন্দরবনে বনদস্যু জলদস্যুতা শুরু করে। হঠাৎ সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বনে যান ট্রলার মালিক। বঙ্গোপসাগরে যখন অন্যান্য ট্রলারে মাছ পাওয়া যায় না ; ঠিক তখন তার ট্রলার মাছে পরিপূর্ণ(!) জলদস্যুদের সাথে একজোট হয়ে সমুদ্র বক্ষের অসহায় জেলেদের মাছ লুট করে তিরে নিয়ে আসার অভিযোগ করেন আলম মোল্লার বিরুদ্ধে। সমুদ্রের জেলেদের মুক্তিপণের টাকা স্থলপথে আদান-প্রদান করারও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ২০০৩ সালে হরিণের মাংস চামড়া নিয়ে অপারেশন ক্লিনহার্ট কর্তৃক আটক হন মোল্লা।

২০০৭ সালে মাসুম কোম্পানির ট্রলারে ডাকাতি করে ধরা পড়েছিল সে। ২০১১ সালে মতি কোম্পানির ছেলে আলম কোম্পানির মাছধরা জাল ডাকাতি করে আনে সে। সবশেষে তিন-চার মাস আগে আলম মোল্লার ট্রলারের নজরুল মাঝী মহিপুরের একটি ফিশিং বোট থেকে মাছধরা জাল ডাকাতি করে আনে। ২০১১ সালে আলম মোল্লার ঘরের পাশ থেকে অস্ত্রসহ ১১ জলদস্যুকে আটক করে রাব-৮। ওই অস্রের পিছনেও আলম মোল্লার হাত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন সেলিম।

২০১৬ সালে র‌্যাবের হাতে আটক হয় সে। পরে জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী সুপারিশে ছাড়া পায় সে। ২০১২ সালে ভোলার একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি করার অভিযোগ ওঠে তার ট্রলারের জেলেদের বিরুদ্ধে। সেখানে ১০ লাখ টাকা দিয়া ছাড়া পায় আলম মোল্লা। ঘটনা ওই সময়ে অধিকাংশ পত্রিকায় প্রকাশ হয় বলেও জানান সেলিম। আলম মোল্লার মোবাইল ফোন ট্রাকিং করলে জলদস্যু তার প্রমাণ পাওয়া যাবে বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন।

আলম মোল্লার জামাতা একজন পুলিশ সদস্য। কখনো রাব, কখনো প্রধানমন্ত্রীর বডিগার্ড , ডিবি ইত্যাদি বলে এলাকায় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন বলেও অভিযোগ করেন সেলিম সংবাদ সম্মেলনে।

সব মিলিয়ে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা আড়াল করতে আলম মোল্লার অপরাধ জগতের তথ্য সংবাদ সম্মেলনে উন্মোচন করলেন মৎস্য ব্যবসায়ী সেলিম।

(এটি/এসপি/মার্চ ০৬, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test