E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বগুড়ায় করতোয়া নদী রক্ষা ও দূষণ রোধে জনসচেতনতা কর্মসূচি

২০২২ মার্চ ১৪ ১৬:৪৮:৩০
বগুড়ায় করতোয়া নদী রক্ষা ও দূষণ রোধে জনসচেতনতা কর্মসূচি

এটিএম রাশেদুল ইসলাম, বগুড়া : "করতোয়া নদী বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও" এই দাবীতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে সচেতনতা মূলক কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

দত্তবাড়ী কদমতলা ঘাট এলাকায় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবিরাজ তরুণ কুমার চক্রবর্ত্তী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবৃন্দ।

কর্মসূচির উদ্বোধক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, "করতোয়া নদী বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও" দাবীর সঙ্গে একাত্মতার বিকল্প নেই। প্রকৃতিতে নদ-নদী ও জলাভূমি যেমন প্রাকৃতিক বৈচিত্রের অংশ, তেমনি ঋতুভেদে পানির পরিমাণ ও প্রবাহের তারতম্য সম্পন্ন নদীও প্রকৃতির অঙ্গ। প্রতিটি নদী প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্রের অংশ। নদীর অববাহিকা তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যযুক্ত অনন্য প্রতিবেশ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। বগুড়া শহরের প্রাণ করতোয়া নদী। করতোয়া নদী রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

বগুড়া পৌর কাউন্সিলর কবিরাজ তরুণ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, করতোয়া নদী বিভিন্ন কারণে এখন পানিশূন্য এবং দখল ও দূষণে মৃতপ্রায়। যা এতদাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং স্বাভাবিক ভাবেই জনস্বাস্থ্য ও স্থানীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বগুড়া শহরকে বাঁচাতে হলে করতোয়া নদীকে বাঁচাতে হবে, নদীকে সচল করতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, "করতোয়া নদী বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও" এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে আজ থেকে পাঁচদিন ব্যাপী জনসচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধন হলো। কর্মসূচি সফল করতে সচেতনতা মূলক প্রচারণার সময় প্রয়োজনে বৃদ্ধি করা হবে। আমাদের দাবী সবার কাছে পৌঁছাতে এই কর্মসূচি। নদী আপনার আমার সকলের সম্পদ, নদীর জীবন্ত স্বত্তার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

করতোয়া নদী রক্ষায় আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আদালতের রায়ের ভিত্তিতে নদীর সীমানা নির্ধারণ এবং দখলমুক্ত রাখতে হবে। সকল ধরনের বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করতে হবে। করতোয়া নদী খনন করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে করতোয়া নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে স্থানীয় প্রশাসন বরাদ্দ প্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের দাবী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পূর্বে এমআর-সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে লাল রঙের শক্তিশালী সীমানা পিলার স্থাপন করা হোক যেন সবাই দেখতে পারে নদীর কতোটা জায়গা দখল হয়েছে। করতোয়া নদী রক্ষায় সম্মিলিত ভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

(এটিআর/এসপি/মার্চ ১৪, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test