E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভূয়া মাদ্রাসার নামে চাঁদা আদায় করে অভিযোগ

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২৭ ১৭:২০:১৭
ভূয়া মাদ্রাসার নামে চাঁদা আদায় করে অভিযোগ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের গৌরনদী উপজেলার জংগলপট্টি গ্রামে ভূয়া মাদ্রাসার নামে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদা আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে এলাকাবাসী জানান, উপজেলার জংগলপট্টি গ্রামে মৌজে আলী আকন ও তার পাঁচ ছেলে মিলে তার বাড়িতে ২০০৯ সালে দোচালা টিনের একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণ করেন। এরপর থেকে ওই বাড়ির লোকজন মসজিদটিতে নামাজ আদায় শুরু করেন। স্থানীয় জামাল হোসেন, মঙ্গল আকন অভিযোগ করে বলেন, পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণের কিছুদিন পরে ওই মসজিদে গায়ে আকনবাড়ী বায়তুল মৌজে আলী নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামকরণ করে সাইন বোর্ড টানানো হয়। পরবর্তীতে মৌজে আলী আকন ও তার ছেলে কবির হোসেন, নুরে আলম, শাহ আলম, শাহজাহান ভূয়া ওই প্রতিষ্ঠানের নামে রশিদ ছাপিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশে রশিদ পাঠিয়ে চাঁদা আদায় করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আমরা চাঁদা বাজিতে বাধা দিলে তাদের সাথে প্রায়ই আমাদের ঝগড়া হয়।’

গতকাল শনিবার সরেজমিন জংগলপট্রি এলাকা ঘুরে এরকম কোন প্রতিষ্ঠান খুজে পাওয়া যায়নি। তবে ওই আকন বাড়ীতে ছোট একটি পাঞ্জেগানা মসজিদের সাথে লটকানো উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে একটি সাইন বোর্ড খুজে পাওয়া গেছে। সেখানে কোন ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষক বা কোন এতিম খুজে পাওয়া যায়নি।
গত রমজান মাসে ওই মসজিদে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার, রসুল¬াবাদের মো. মাকসুদুল¬াহ নামের একজনকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তার অজান্তেই চাঁদার রশিদ বইতে তার মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে ওই ভূয়া প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদা আদায় করে কমিটির প্রতিনিধিরা। বিষয়টি তিনি (মাকসুদুল্ল¬াহ) জানতে পেরে প্রতিষ্ঠানের কথিত সভাপতি কবির হোসেনকে (মাওয়া ফেরি ঘাটে কর্মরত) ও অন্যান্যে সদস্যেদের বললে, কবির হোসেন মাকসুদুল্ল¬াহকে বলে তোমাকে কেউ ফোন করলে তুমি বলবে এখানে নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা ও পাঁচজন শিক্ষক আছে। ওই ইমাম মো. মাকসুদল্ল¬াহ মুঠো ফোনে বলেন, আমি মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারবনা বললে, আমাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।’

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় আবুল হোসেনসহ এলাকাবাসি মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে উক্ত ভূয়া প্রতিষ্ঠান অপসারণ ও রক্ষনাবেক্ষনকারীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরিষদ থেকে নোটিশ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ভূয়া প্রতিষ্ঠান ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানের কথিত সভাপতি মো. কবির হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠানটি নতুন প্রতিষ্ঠা করেছি। একটি মহল আমাদের ফাঁসাতে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

(টিবি/এটিআর/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test