E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থবির, ঝিনাইদহের পাঁচ উপজেলায় নেই ছাত্রলীগের কমিটি!

২০২২ এপ্রিল ১৫ ১৪:০৫:১৪
সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থবির, ঝিনাইদহের পাঁচ উপজেলায় নেই ছাত্রলীগের কমিটি!

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : কমিটি বিহীন চলছে ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের রাজনীতি। জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় ২ মাস। জেলার ৬ উপজেলার সংগঠনিক কমিটির মধ্যে ৫টি তে নেই কমিটি। জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করায় বর্তমানে কমিটি বিহীন রাজনীতি চলছে ছাত্রলীগে। দুই মাস আগে জেলার পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করা হলেও কমিটি ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। জেলার হরিণাকুণ্ডু ব্যাতিত অন্য সকল উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ও স্থগিত রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন পরীক্ষার হল থেকে ফেসবুকে লাইভ করে সারাদেশে আলোচিত হন।

এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এই উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এদিকে জেলায় ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় সংগঠন ঝিমিয়ে পড়ছে। কোন কোন নেতা হতাশ হয়ে পড়ছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইহের সরকারি কেসি কলেজের কমিটি ১০ বছর ও ঝিনাইদহ সিটি কলেজের কমিটি ৪ বছরের পুরাতন। এই কমিটির নেতাদের ছাত্রত্ব শেষ হলেও নতুন করে সম্মেলন হয়নি। ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রানা হামিদ জানান, আমাদের কমিটি প্রায় ২ মাস আগে বিলুপ্ত হয়েছে। এখনতো আর সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। কিন্তু এখন শহরে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে রাজপথে কার্যক্রম শুরু করা দরকার। উপজেলা ও কলেজ কমিটি করে সংগঠন গতিশীল করতে হবে।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশফাক মাহমুদ জন বলেন, উপজেলা গুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় উপমহাদেশের বৃহত্তম এই ছাত্র সংগঠন ঝিনাইদহে অনেকটা নিষ্কৃয় হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্রুত কমিটি দিয়ে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে, এ অবস্থায় ছাত্রলীগ নিষ্কৃয় থাকলে জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, দুই মাস আগে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা ঝিনাইদহে এসে পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে গেলেন। কিন্তু আজও কমিটি কেন হচ্ছে না সেটা আমার বোধগম্য নয়। এতে করে ছাত্রলীগের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সিভি জমা দেওয়া একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আগামীতে কে নেতা হবে? এমন প্রশ্ন সবার মনেই। কাজেই ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রকাশ্যে কারও সাথে এসে ট্রেন্টে বসতে পারছে না। সঙ্গ দেওয়া নেতা যদি পদ না পান তবে তারাও বঞ্চিত হবেন। সব মিলিয়ে সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগের রাজনীতি। নেতা যেই হোক আমরা সবাই এক সাথে কাজ করবো।

(একে/এএস/এপ্রিল ১৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test