E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুই মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে রাজাকারী চেতনার কর্তৃপক্ষের ষড়যন্ত্র

২০২২ এপ্রিল ১৫ ১৫:২০:৩৪
দুই মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে রাজাকারী চেতনার কর্তৃপক্ষের ষড়যন্ত্র

দেবেশ চন্দ্র সান্যাল, উল্লাপাড়া : সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সমেশপুর গ্রামের অধিবাসী সিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রেজা। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে  মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বিভিন্ন স্থানে পাকিস্থানী হানাদার ও তাদের  এ দেশিও দোসর রাজাকারদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন। দেশ স্বাধীন হবার পর দেশ উন্নয়নে তিনি বিভিন্ন অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার। তিনি ছিলেন ধার্মিক পরোপকারী দয়ালু ও অন্যান্য মানবীয় গুন সম্পন্ন। তিনি ছিলেন জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক মুক্তি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মি। তিনি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সোহাগপুর (বেলকুচি উপজেলা শাখার) সিরাজগঞ্জের অফিসার ছিলেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সি বি এর সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগ করার কারনে বিএনপি- জামায়াত দুঃ শাসন আমলে তাঁকে কয়েক বার বিভিন্ন স্থানে শাস্তি মূলক বদলী করেছে। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তনয়া জননেত্রী দেশ উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা করেন। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের জন্য বিভিন্ন প্রকার নতুন ঋন কর্মসূচির প্রচলন করে। দরিদ্র জনগোষ্টিকে স্ব কর্মস্থানের মাধ্যমে আত্ম নির্ভরশীল হওয়ার জন্য (১) দরিদ্র বিমোচন সহায়তা ঋন (২) ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ (৩) উন্মেষ ঋণ (৪) জাগো নারী ঋন কর্মসূচি সহ বিভিন্ন ঋন প্রচলন করেন। জনাব মোঃ শহিদুল রেজা সুপারিস করে বিভিন্ন দরিদ্র মানুষকে ঋন দেন। তার ম্যানেজার ও ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির পিতার আধর্শের সৈনিক।

দুজনে মিলে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর উন্নয়ন, সকল কর্ম গ্রাহকের সেবা দরিদ্র জনগোষ্টিকে মাইক্রোক্রেডিট ঋন প্রদান কৃষি/পল্লি প্রদান ও অন্যান্য সেবা মূলক কাজ করেন। তার ম্যানেজরের ব্যাংকিং সেবা মূলক কাজের সুনামের জন্য সাপ্তাহিক সাহসী জনতা গুনীজন পদক ২০১১ পান। জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক দুই জন অন্ধ প্রতিবদ্ধি সহ বিভিন্ন জনকে ঋন প্রদান করেছেন। তাদেও সুনামে রাজাকারী চেতনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঈর্ষাধিত। জনাব মোঃ শহিদুল রেজার অবসর উত্তর পাওনা ঠেকিয়ে দিলেন এম,ডি এর স্পেসাল স্কটকে টেলিফোন করে নিয়ে এলেন। একের পর এক পরিদর্শনের অযুহাতে অবসর উত্তর পাওনার প্রস্তাব পাঠালেন না। জনাব মোঃ শহিদুল শত শত বার আকুতি মিনতি করলেন।

রাজাকারী চেতনার মানুষ গুলোর মুক্তিযোদ্ধার কাকুতি মিনতিতে মন গললো না । দুশ্চিন্তা করতে করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল রেজা মারা গেলেন। তারপর উত্তরধিকারীনি হিসেবে তার স্ত্রী আকুতি মিনতি শুরু করলেন। তার কাকুতি মিনতিতেও কাজারারী চেতনার মানুষ গুলোর মন গললো না। দুশ্চিন্তা করতে করতে তিনিও মারা গেলেন। পরে তার ছেলের অনুরোধে পেনশন মঞ্জুরী করলেন। কিন্তু ১০,৫০,০০০/- টাকা আজো আটকিয়ে রেখেছেন। তার সন্তানাদি এখন অর্থাভাবে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যা মনবতার নেত্রী, গণতন্ত্রেও মানস কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার বলেছেন ‘‘ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কষ্টে থাকবে আমি তা মানতে পাবো না’’ প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুর রেজা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আদর্শের প্রতিফল চায়।

(ডিএস/এসপি/এপ্রিল ১৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test