E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান হয়রানির শিকার মুক্তিযোদ্ধা

২০২২ মে ০১ ১৩:২৮:৪৭
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান হয়রানির শিকার মুক্তিযোদ্ধা

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি : সাধান লাল কর একজন কবিরাজ, গ্রড-এ-৩০৬ ও ফার্মসিষ্ট। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় একজন ভাল কবিরাজ হিসেবে সুপরিচিত। তিনি একজন কবিরাজ হিসেবে সুপরিচিত। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। তাঁর পরিবার পাকি হায়েনাদের দ্বারা একটি ক্ষতিগ্রস্থ ও অত্যাচারিত পরিবার। তাঁর আপন কাকীমা পাকিহায়েনাদের দ্বারা ধর্ষিতা। বীরাঙ্গনা। তিনি স্বকর্মসংস্থান, নিজ শিক্ষিত পুত্র ও অন্যান্যদের কর্মসংস্থান এবং মানবসেবার উদ্দেশ্যে আর.এম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সামান্য কয়েকটি তরল ও অন্যান্য ধরনের কবিরাজি ঔষধ তৈরীর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ২০০৯ সালের ৪ মার্চ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা অফিসে আবেদন জমা দিয়েছেন। শুধু ঘুষ না দেওয়ার কারনে দীর্ঘ ১৩ বছরেও তিনি লাইসেন্স পান নাই। কালক্ষেপনের জন্য ঔষধ প্রশাসন বারবার পরিদর্শন দিয়ে যাচ্ছেন। 

২০১৯ সালে একজন সৎ জেলা অফিসার এসেছিলেন। তিনি কোম্পানীটি পরিদর্শন করে সকল দিক থেকে ঠিক থাকায় আর.এম ল্যাবরেটরীজ (আয়ূ) এর লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ করে ডিজি ডিএ বরাবর পরিদর্শন রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ঔষধ প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর অফিসার ও অফিসের দালাল চক্র রিপোর্টটি দীর্ঘ ৬মাস গোপন করে রাখে। দুর্নীতিবাজ অফিসাররা রিপোর্ট দাতা অফিসারটিকে গালমন্দ করে। পরবর্তীতে ষড়যন্ত্র করে রিপোর্টদাতা অফিসারকে অন্যাত্র বদলী করে। বিষয়টি মানবীয় মহাপরিচালক, ডিজি ডিএ মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান স্যারের কাছে ফাঁস হয়ে যায়। তিনি দুর্নীতিবাজ অফিসারদের ধমকদেন এবং রিপোর্টটি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।

দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর অফিসাররা রিপোর্টটি উপস্থাপন করতে বাধ্য হন। ডিজি ডিএ মহোদয় লাইসেন্সটি অনুমোদন করেন। কিন্তু দুভাগ্যবশত লাইসেন্স নম্বর দেওয়ার পূর্বেই তিনি বদলী হয়ে যায়। তিনি সবাইকে বলে যান তারস্থলাভিক্ত ডিজি ডিএ আর বাকি কাজ করবেন। অফিসের দুর্নীতিবাজ অফিসার ও দালালরা যোগসাজসে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেন। নতুন ডিজি ডিএ মহোদয়কে ভুল বুঝিয়ে পুনরায় পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক ঘুষ দিতে পারেন না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার নেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধঅদের শেষ আশ্রয়স্থল।

তিনি বলেছেন- “মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কষ্টে থাকব, আমি মানতে পারবো না।” ঔষধ প্রশাসন দীর্ঘ ১৪বছর কষ্ট দিয়ে একজন এ গ্রেডের কবিরাজকে পথে বসিয়ে দিয়েছেন। তাই কবিরাজ সাধনলাল কর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ আশ্রয়স্থল, জাতির পিতার কন্যা মানবতার নেত্রী দেশরত্ন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, এর নীতিতে নীতিবান জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। আমার বিষয়টি তদন্ত, দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর অফিসার, ঐ অফিসের দালালচক্রের বিচার এবং লাইসেন্স প্রাপ্তির ব্যবস্থা করুন।

(ডিএস/এসপি/মে ০১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test