E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে পশুর হাটে দ্বিমুখী চাঁদাবাজি

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৭:৪৪:১২
রায়পুরে পশুর হাটে দ্বিমুখী চাঁদাবাজি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। সেই সঙ্গে চলছে দ্বিমুখী চাঁদাবাজি। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এছাও পশুর হাটগুলো থেকে ইজারাদারেরা সরকারনির্ধারিত হাসিলের (টোল) চেয়ে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পশু বিক্রেতাদের অভিযোগ, রায়পুর উপজেলা নতুন বাজার, খাসের হাট ও হায়দেরগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গরু প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। আর ক্রেতারা বলছেন, বিভিন্ন মসজিদ- মাদ্রাসার নাম ভাঙিয়ে গরু প্রতি এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে।

গতকাল রবিবার হায়দরগঞ্জ বাজার থেকে আব্দুর রশিদ নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, তিনি ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কেনার পর তাঁর কাছ থেকে ১৫০০ টাকা হাসিল আদায় করা হয়েছে।

অতিরিক্ত হাসিলের পাশাপাশি একাধিক হাটে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ইজারাদারের লোকজনের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। কোরবানির হাটে গরু, ছাগল ও ভেড়া বেশি বিক্রির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইজারাদারেরা তাঁদের ইচ্ছানুযায়ী হাসিলের পরিমাণ বাড়ালেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে সরেজমিনে রায়পুর পৌর শহরের কয়েকটি হাটে গিয়ে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। হায়দরগঞ্জ, খাসের হাট, ও পানপাড়া হাটে হাসিলের পাশাপাশি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে ও হাসিল আদায়কারী কর্মচারীর রসিদ লেখার জন্য বাড়তি আরও ২০ টাকা করে নিতে দেখা গেছে। রসিদে পশুর বিক্রয়মূল্য লেখা হলেও হাসিলের টাকার পরিমাণ লেখা হয় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইজারাদার বলেন, বেশি দামে হাট ডেকে নিয়ে সরকারনির্ধারিত দামে খাজনা আদায় করলে লোকসান গুণতে হবে। তাই কিছুটা বেশি নিতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন।

এ দিকে উপজেলার প্রায় এক শতাধিক হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা চলছে। রায়পুর উপজেলা শহর নতুন বাজার, খাসের হাট ও হায়দেরগঞ্জ বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।


(এমআরএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test