E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সিলেটে ৩ নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত

২০২২ মে ২০ ১৮:৩৩:৩৬
সিলেটে ৩ নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের বরাক, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করছে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি। এতে জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙে ভারতের বরাক নদী থেকে পানি প্রবেশ করায় রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

উপজেলার আমলসিদ, পল্লিকান্দি, বারঠাকুরী, শরিফগঞ্জ, খাসিরচক, সোনাসারসহ বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। একই সঙ্গে উপজেলা সদরের সঙ্গে অমলশিদ যাতায়াতের রাস্তাটিও পানিতে ডুবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সকাল থেকে এ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জকিগঞ্জে পানি দ্রুত বাড়লেও সিলেট মহানগর ও জেলার অন্যান্য উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট শহর পয়েন্টে যথাক্রমে দশমিক ২০ সেন্টিমিটার ও দশমিক ১২ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এর ফলে সিলেট নগরে প্রায় ৭-৮ ইঞ্চি পানি কমেছে। তবে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে আছেন লাখ লাখ মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টায় পানির স্তর পরিমাপে দেখা গেছে গত ২৪ ঘণ্টার তুলনায় সিলেটের প্রধান নদী সুরমা সিলেট সদর পয়েন্টে দশমিক ১২ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এখনও তা বিপৎসীমার ১১ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যা ছিল বিপৎসীমার ১১ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার।

এছাড়া কানাইঘাট (সিলেট) পয়েন্টে দশমিক ২০ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এখনও তা বিপৎসীমার ১৩ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।

নগরের শামিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা আহমদ জামিল জানান, সিলেটে বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ কিছুটা পানি কমলেও এখনো বাসাবাড়িতে পানি রয়েছে।

অমলসিদ গ্রামের বাসিন্দা শামীম জানান, পানির চাপে বাঁধের অন্তত ২০-৩০ ফুট অংশ ভেঙে যায়। শুক্রবার সকালে আরও ৫০ ফুট ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় সরাসরি বরাক নদী থেকে আসা পানি সুরমা-কুশিয়ারায় প্রবাহিত হওয়ার পাশাপাশি আমলশীদ এলাকার লোকালয়ে ঢুকছে।

বারোঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহসীন মর্তুজা বলেন, বাঁধ ভাঙার খবর এলাকায় প্রচার করেছি। সবাইকে সর্তক থাকার জন্য মসজিদের মাইকে বলা হচ্ছে। বেশির ভাগ মসজিদ মাদরাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকারি ত্রাণ সহায়তা বাড়ানো দরকার নইলে ভানবাসী মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়বেন।

জকিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাস বলেন, বরাক নদীর পানি সবচেয়ে বেশি প্রবাহিত হয় কুশিয়ারা দিয়ে। সুরমা-কুশিয়ারার উৎপত্তিস্থলে বাঁধের অন্তত ৩০ ফুট ভেঙে গেছে। ফলে বরাক থেকে আসা ঢল দুই নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পাশাপাশি সরাসরি জকিগঞ্জের লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

(ওএস/এসপি/মে ২০, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test