E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গলাচিপায় সরকারি ঘর পাওয়ার আকুতি গৃহহীন সঞ্জীব শীলের

২০২২ মে ২৩ ১৭:২৮:৪৫
গলাচিপায় সরকারি ঘর পাওয়ার আকুতি গৃহহীন সঞ্জীব শীলের

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা : পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ঘর পাওয়ার আকুতি জানিয়েছে অসহায় গৃহহীন সঞ্জীব শীল। সঞ্জীব শীল (৩৫) হচ্ছেন উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের শীল বাড়ির রতন চন্দ্র শীলের ছেলে। বর্তমানে গৃহহীন সঞ্জীব শীলের পরিবারটি অসহায় জীবনযাপন করছে। একটি ঝুপড়ি ঘরে চলছে তাদের বসবাস। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। সঞ্জীব শীল হরিদেবপুর খোকন শীলের সেলুনের দোকানে কাজ করে। তার প্রতিবন্ধী একটি পুত্র সন্তান আছে। গৃহহীন সঞ্জীব শীলের বাবার দেয়া ২ শতক জমির উপর একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছে অসহায় দরিদ্র পরিবারটি। 

সঞ্জীব শীল জানান, আমি একটি সেলুনে মজদুরীর কাজ করি। তাতে আমাদের সংসার ঠিকমত চলে না। আমাদের ঝুপড়ি ঘরটিতে বৃষ্টির সময় পানিতে তলিয়ে যায়। ঘর উঠানোর সামর্থ্য আমার নাই। নুন আনতে পানতা ফুরায় আমার। সরকারি একটি ঘর পেলে আমরা বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে সুখে থাকতে পারতাম। জানি না সরকারি ঘর আমার কপালে আছে কিনা।

সঞ্জীব শীলের বাবা রতন চন্দ্র শীল জানান, আমরা গরিব মানুষ। আমার বাবার ৩ কড়া জায়গা আমরা তিন ভাই পেয়েছি। সেখান থেকে আমার ছেলে সঞ্জীবকে ২ শতাংশ জমি দিয়েছি। মানুষের সাথে কাজ করে আর কি আয় করতে পারে। আমার ছেলে দুই শতাংশ জায়গা থাকলেও টাকার অভাবে তাতে ঘর তুলতে পারে নি। তাই বাধ্য হয়ে পুরনো ঝুপড়ি ঘরেই থাকে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি ঘর পেলে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারত।

আমখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান মনির বলেন, সঞ্জীব শীলের পরিবার একটি অসহায় গৃহহীন পরিবান। সে অন্য মানুষের সাথে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সরকারীভাবে সঞ্জীব শীলের একটি ঘর খুব দরকার।

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, ‘ক’ গ্রুপের কাজ চলছে। ‘খ’ গ্রুপের কাজ শুরু হলে অবশ্যই ঘর পাবে।

(এসডি/এসপি/মে ২৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test