E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জাজিরায় মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ২

২০১৪ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৫:৪১:৩৮
জাজিরায় মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ২

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের জাজিরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় নিহত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মাদবরের ছোট ভাই জসিম মাদবর ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমও গুরুতর আহত হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য জসিম মাদবরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকা সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে জাজিরা থানা পুলিশ।

জাজরিা থানা ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওযোবা উইনিয়নের মেছের মাদবর কান্দি গ্রামের দুদুমিয়া মাদবরও ইউনুছ খানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মাদবর ইউনুছ খানের পক্ষ নিয়ে তাকে মামলা মোকদ্দমায় সহায়তা প্রদান করে আসছিল। ফলে দুদুমিয়া গং নুরুল ইসলাম মাদবরের উপর ক্ষিপ্ত ছিল।। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় নুরুল ইসলাম মাদবর নিজ বাড়ি থেকে জাজিরার উদ্দেশ্যে রওনা করে পার্শবর্তি নুরুল হক মিনার বাড়ির কাছে পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুদু মিয়া মাদবর, দাউদ খান, শাহাবুদ্দিন মাদবর, নুরু মিয়া শিকদার সহ ১৫-২০ জন লোক নুরুল ইসলামের গতিরোধ করে হামলা করে।

এসময় হামলাকরীরা নুরুল ইসলাম মাদবরকে প্রথমে রাস্তার উপর বেধরক মারপিট করে। পরে তারা নুরুল ইসলাম মাদবরকে ধরে নিয়ে দুদুমিয়া মাদবরের বাড়িতে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে-পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। নুরুল ইসলাম মাদবরকে আটক করা হয়েছে জানতে পেরে তার ছোটভাই জসিম উদ্দিন মাদবর ভাইকে বাঁচাতে ছুটে গেলে হামলাকারীরা তাকেও কোপাতে থাকে। এসময় জসিম উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম এগিয়ে এলে তার উপরও আক্রমন করা হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন দুদুমিয়ার বাড়ি থেকে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে জাজিরা হাসপাতালে পাঠালে মুক্তিযোক্তা নুরুল ইসলাম মাদবরকে চিকিৎসক মৃত্যু বলে ঘোষনা করে। আশংকাজনক অবস্থায় জসিম উদ্দিনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে দুদুমিয়া মাদবর, সরোয়ার মাদবর ও চুন্নু মাদবরকে জাজিরা থানা পুলিশ আটক করেছে।

নিহত নুরুল ইসলাম মাদবরের ছেলে মোহাম্মদ আলী মাদবর জানান, আমার বাবা সম্পূর্ন নিরাপরাধ ছিলেন। নাওডোবা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জলিল গোমস্তার ইন্ধনে দাউদ খান, দুদুমিয়া মাদবর, নুরু শিকদার মিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকরাম আলী মিয়া বলেন, নাওডোবা এলাকার স্থানীয় দুইটি পক্ষের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ চলে আসছিল। নুরুল ইসলাম মাদবর এক পক্ষকে সহায়তা করায় ক্ষিপ্ত প্রতিপক্ষ তাকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(কেএনআই/এএস/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test