E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

সেপ্টেম্বরে চালু হতে পারে কালনা সেতু

২০২২ জুন ০৭ ১৯:১৫:২৯
সেপ্টেম্বরে চালু হতে পারে কালনা সেতু

শেখ সাদ বীন শরীফ, নড়াইল : আগামী ২৫ জুন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হবে। পদ্মাসেতু চালু হলে এর সাথে সংযুক্ত সব সড়ক-মহাসড়কেই বিভিন্ন যানবাহনের বাড়তি চাপ হবে। চার লেনের পদ্মা সেতু সহ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের মহাসড়ক হলেও এর সাথে সংযুক্ত অধিকাংশ সড়কগুলি নামে মহাসড়ক হলেও সবগুলিই দুই লেনের মহাসড়ক। বিশেষ করে ঢাকা-মাওয়া-পদ্মাসেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক হলেও ভাঙ্গা মোড় থেকে ফরিদপুর, বরিশাল অথবা নড়াইল-যশোর সব দিকেই দুই লেনের অপ্রশস্ত মহাসড়ক। চার লেনের মহাসড়কে দ্রুতগামী যানবাহন গুলি ৮০ কিলোমিটার বা তারও বেশি গতিতে চলার পর হঠাৎ দুই লেনের মহাসড়কে গেলে সঙ্গত কারণেই গতির ভারসাম্যের হেরফের হবে। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও অমুলক নয়। একই কারণে ভাটিয়াপাড়া থেকে কালনা ঘাট হয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি এ ক্ষেত্রে আরো বেশি বিপজ্জনক। নামেমাত্র এই মহাসড়কেও তখন যানবাহনের বাড়তি চাপ হবে।

অপ্রশস্ত রাস্তা ছাড়াও মধুমতি নদীর কালনা ঘাটে ফেরি পারাপারের সমস্যা মহা দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। উল্লেখ্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নড়াইল, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বেনাপোল, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর জেলাবাসীর কালনা সেতু পার হয়ে পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে ঢাকা যাতায়াত সহজ ও সংক্ষিপ্ত পথ হবে। এছাড়া নদীবন্দর নোয়াপাড়া এবং স্থল বন্দর বেনাপোলের আমদানী-রফতানি পণ্যাদি পরিবহনেও এই সেতু ব্যবহার করা হবে। নড়াইল-ঢাকা ও লোহাগড়া-ঢাকা রুটের নিয়মিত পরিবহন গুলি ছাড়াও যশোর ও বেনাপোল রুটের পরিবহন গুলিও তখন ঢাকা যেতে এই সড়ক ও সেতু ব্যবহার করবে। অন্যান্য যাবাহনের পাশাপাশি এই রুটের নিয়মিত পরিবহন গুলি পার হতেই কালনা ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তার উপর বাড়তি যানবাহনের চাপ হলে পরিস্থিতি কি হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। ফলে এই সড়কের নির্মাণাধীন কালনা সেতু চালু না হওয়া পর্যন্ত বাড়তি যানবাহনের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে সড়ক সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সড়কের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়তে পারে। বাড়তি যানবাহনের চাপে একদিকে যেমন যানবাহনের গতি কমে যাবে তেমনি অপ্রশস্ত মহাসড়কে দুর্ঘটনাও বেড়ে যেতে পারে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

কালনাসেতু চালু হতে এখনও অন্ততঃ চারমাস বাকী। এদিকে কালনা ঘাট থেকে নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিনস্থ ভাঙ্গুড়া পর্যন্ত মহাসড়কটি প্রশস্থকরণের সিদ্ধান্ত হলেও কাজটি এখনও শুরুই হয়নি। এ কারনে কালনা সেতু চালু না হওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন গুলিকে সম্ভাব্য বিকল্প পথ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে। বিশেষ করে যশোর ,নোয়াপাড়া ও বেনাপোলের মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ট্রাকগুলিকে কালনা ঘাট পরিহারের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে। অন্যথায় কালনাঘাটে ফেরি পারাপারে মহা দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

কালনা সেতুর পশ্চিম পারে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা এবং পূর্ব পারে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা। কালনা সেতু চালুর আগে নওয়াপাড়া, যশোর, বেনাপোল, খুলনা, সাতক্ষীরাগামী ট্রাক ও কাভার্ড ট্রাকগুলিকে ভাটিয়াপাড়া মোড় থেকে গোপালগঞ্জ-খুলনা হয়ে চলাচলের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে। অন্যথায় কালনাঘাটে যানজট সহ নানা ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে।

(এসবিএস/এএস/জুন ০৭, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test