E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রামগঞ্জে ফসলি জমিতে বালু ভরাট, কৃষকের মামলা

২০২২ জুন ০৭ ১৯:২৫:২৮
রামগঞ্জে ফসলি জমিতে বালু ভরাট, কৃষকের মামলা

শিমুল সাহা, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সরকারি আবাসনের ঘর নির্মাণের জন্য গণেশ চন্দ্র দে নামে এক কৃষকের ১ একর ২৩ শতাংশ ফসলি জমিতে বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এবারও জমিটিতে ১৩৫ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। এটি উদ্ধারের মামলায় আদালত বিবাদীদের ১৫ দিনের শোকজ করেছেন। এরপরও বালু ভরাট বন্ধ হয়নি। মামলাটি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর কাছে আকুতি জানিয়েছেন গণেশ।

এদিকে জমিটি রেকর্ড ও মালিকানা বুঝে পেতে ১ জুন গণেশ ও তাঁর ভাই কার্তিক চন্দ্র দে বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে সরকারের পক্ষে লক্ষ্মীপুরে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), রামগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি), চন্ডীপুর ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে (তহশীলদার) বিবাদী করা হয়।

বাদীর আইনজীবী প্রহলাদ সাহা রবি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। বিবাদীদের ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কোনভাবেই জমিতে বালু ভরাট করার এখতিয়ার নেই।

গণেশ রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় কৃষক।

গণেশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৬২ সালে হরকুমার মজুমদারের কাছ থেকে গণেশের বাবা মাখন লাল দে ১ একর ২৩ শতাংশ জমি কেনেন। এরপর থেকে ওই জমি মাখনদের দখলে রয়েছে। ১৯৮৭ সালে মাখন মারা যান। এতে গণেশ ও কার্তিক অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকায় জমিটি গত আরএস জরিপে রেকর্ড করতে পারেনি। পরে জমিটি সরকারের নামে রেকর্ড হয়। তবে কেনার পর থেকে জমিটি গণেশদের দখলে রয়েছে। চাষাবাদ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। এ বছর ১৩৫ মণ ধান (১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা) উৎপাদন হয়েছে।

অন্যদিকে রেকর্ড হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণের জন্য ওই জমিটি বালু দিয়ে ভরাট করছে উপজেলা প্রশাসন। তখন গণেশ জানতে পারেন জমিটি সরকারের নামে রেকর্ড হয়েছে। এতে নিজেদের নামে রেকর্ড ও মালিকানা বুঝে পেতে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।

গণেশ চন্দ্র দে বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রহস্যজনক কারণে বালু ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রশাসনের কার্যকরী হস্তপেক্ষ চাচ্ছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দিলীপ দে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউএনও ভালো বলতে পারবেন।

রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন বলেন, মামলার বিষয়টি আমরা জেনেছি। এটি এসআর ও ভিপি সম্পত্তিভূক্ত। আদালতে এ ব্যাপারে জবাব দেওয়া হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া পারভিন বলেন, জমির বিষয়ে কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি ইউএনও দেখছেন। যদি আমার কাছে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এস/এসপি/জুন ০৭, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test