E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

'বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু'

২০২২ জুন ০৮ ১৪:২৮:৫১
'বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু'

গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। এটি চিরন্তন সত্য। অথচ ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ  ২১ বছর শত চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুর নামটি বাঙালির হৃদয় থেকে কোনভাবেই মুছে ফেলা যায়নি।

কারণ ইতিহাসকে কখনও 'দাবাইয়া' রাখা যায় না। ইতিহাস ইতিহাসই, ইতিহাস নয় কারও কৃতদাস। আর ইতিহাস মুছে ফেলা যায়নি বলেই বঙ্গবন্ধু আজ স্বমহীমায় ভাস্বর। তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি আজ স্বয়ং জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

তদ্রুপ স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে ৭ জুনও বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি ঐতিহাসিক দিবস। যা ইতিহাসে 'বাঙালির মুক্তি সনদ' খ্যাত ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। যার মূল কথা ছিলো 'পূর্ব বাংলায় আর বৈষম্য নয়, এখন থেকে সমান অধিকার চাই'। যে ৬ দফারও মহানায়ক ছিলেন আজীবন শোষিতের পক্ষে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

ঐতিহাসিক ৭ জুন ৬ দফা দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত একটি প্রাণবন্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে (লাইভ) অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট জনেরা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে প্রচারিত দর্শকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নবীনগরের কথার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নিয়মিত লাইভ টকশোর ১৫০-তম পর্বে ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবসে ভার্চ্যুয়ালি ওই প্রাণবন্ত আলোচনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

দৈনিক বাংলা ৭১ এর বিশেষ প্রতিনিধি ও নবীনগরের কথার সম্পাদক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলা একাডেমির উপ পরিচালক, বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, ভারতের আগরতলার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক ও তাঁর সহধর্মিনী ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী শাওলী রায়।

প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে চলা ওই লাইভ টকশোতে অংশ নিয়ে দুই দেশের বিশিষ্টজনেরা ৭ জুনের তাৎপর্য ও পটভূমি তুলে ধরে বলেন,'বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূর্ত প্রতীক। তিনি আজীবন একজন মানুষকে 'প্রকৃত মানুষ' হিসেবেই দেখতেন। একজন মানুষ কোন ধর্মাবলম্বী ছিলেন, সেটিকে তিনি কখনই গুরুত্ব দিতেন না। 'সবার ওপরে মানুষ সত্য তাঁহার ওপরে নাই', এই মন্ত্রে তিনি সবসময় উজ্জীবিত ছিলেন। আর এটিই ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রধান দর্শন।

বক্তারা বলেন, তাই ৭জুন সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দিবস আসলেই, কেবল অনুষ্ঠান করে বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুুতে রূপান্তরিত হওয়া এই মহামানবকে নিয়ে 'স্মরণ' অনুষ্ঠান করলেই চলবে না, প্রকৃতঅর্থে তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ ও দর্শনটিকে আমাদেরকে মনে প্রাণে হৃদয়ে ধারণ ও লালন করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের প্রাত্যহিক জীবন চর্চায়ও বঙ্গবন্ধুর মূল আদর্শগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বক্তারা বলোন, যদি বঙ্গবন্ধুর দর্শনটিকে কাজে লাগিয়ে আগামি প্রজন্ম গড়ে তোলা যায়, তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন একটি উদার গণতান্ত্রিক সেকুলার বাংলাদেশ সহসাই গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সেজন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে সবসময় আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী রাখতে হবে।

(জিডিএ/এএস/জুন ০৮, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test