E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভৈরবে কিশোর-কিশোরী ক্লাব ম্যানেজমেন্ট কমিটি সভা

২০২২ জুন ০৯ ১৩:৫৪:১১
ভৈরবে কিশোর-কিশোরী ক্লাব ম্যানেজমেন্ট কমিটি সভা

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের ক্লাব ম্যানেজমেন্ট কমিটি (সিএমসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ জুন বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ভৈরব উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসমিন শামসুন নাহার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ।

এ সময় আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল আলিম রানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম আবু ওবায়দা আলী, শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ ভূঁইয়া, শিমুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান রিপন, কালিকাপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়া, সাদেকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাফায়েত উল্লাহ, প্রধান শিক্ষক দীপা রানী সাহা, নাজমুল হোসেন, অভিভাবক প্রতিনিধি ফারহানা বেগম লিপি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম, আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, সাদেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ফজলুল হক, শিমুলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আজিজ। উপজেলার ৮টি ক্লাবের ৮টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ৮ জন অভিভাবক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সচিব, জেন্ডার প্রোমোটার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ ৪১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে কিশোর-কিশোরীদের মাঝে আইডি কার্ড ও ক্যারাটে পোশাক বিতরণ করা হয়।

সভার শুরুতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসমিন শামসুন নাহার ২০১৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করা কিশোর-কিশোরী ক্লাবের প্রতিবন্ধকতা ও কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং এর উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য মতামত চান।

অপরদিকে অভিভাবক সদস্য ফারহানা বেগম লিপি বলেন, ভৈরব উপজেলার কিশোর-কিশোরী ৮টি ক্লাব রয়েছে। প্রতিটি ক্লাবে ৩০ জন করে কিশোর-কিশোরী সরকারি অনুদানে আবৃত্তি, গান ও জেন্ডার বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। প্রশিক্ষণের জন্য সরকার যে পরিমাণ অনুদান দেন তা একেবারেই সামান্য। এই অনুদানে ক্লাব চালাতে হিমসিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাই সরকারি অনুদানের পাশাপাশি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের সহায়তা পেলে ক্লাবের সংখ্যা ও কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যাবে। সেই সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পরিণত হবে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, ক্লাবগুলিতে কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনে তাদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ জোরদার করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা জানান, আমাদেরকে ডাকা হলে এবং সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই আমরা সহযোগিতা করবো। আমরা চাই আগামী প্রজন্ম সঠিক পথে, সঠিক ধারণা নিয়ে চলবে। তাহলে জাতির উন্নয়ন হবে।

(এসএস/এএস/জুন ০৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test