E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বান্দরবানে ডায়রিয়ায় পাঁচদিনে ১০ জনের মৃত্যু

২০২২ জুন ১৫ ২২:২৭:১৮
বান্দরবানে ডায়রিয়ায় পাঁচদিনে ১০ জনের মৃত্যু

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত পাঁচদিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার (১১ জুন) চারজন মারা যান। সবশেষ বুধবার (১৫ জুন) একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. নীহারঞ্জন নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃতরা হলেন- থানচির রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেন থাং পাড়ার আমেন ম্রোর ছেলে মেনথাং ম্রো (৪৯), নারিচা পাড়ার বাসিন্দা মে তৈ ম্রোর ছেলে লংঞী ম্রো (৪৫) সিং চং পাড়ার বাসিন্দা মেন রো ম্রোর ছেলে প্রেন ময় ম্রো (১১), সংওয়ে ম্রো (৫০), প্রেণময় ম্রো (৪০), ইয়ং নং পাড়ার ক্রাইয়ং ম্রো (৬০), ক্রায়ক ম্রো (১৮), রয়ং ম্রো (৪৮) ও নারিচ্যা পাড়ার ক্রেলি ম্রো (৩৬)। এছাড়া গত ১১ জুন আলীকদমে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।

সিভিল সার্জন বলেন, বর্ষার শুরুতে বান্দরবানের দুর্গম এলাকাগুলোতে সাধারণত ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। অসচেতনতা ও সুপেয় পানির অভাবে এটা হয়। এবার থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত গত পাঁচদিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থানচিতে ৯ ও আলীকদমে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেডিকেল দল কাজ করছে এবং পর্যাপ্ত ওষুধ পাঠানো হয়েছে। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে এ ডায়রিয়া বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ষার প্রথম পানি পাহাড়ের বিভিন্ন জীবাণু বহন করে নদী বা ঝিরিতে মিশে তাদের ব্যবহারের পানির উৎসগুলো দূষিত হচ্ছে। এ দূষিত পানি পান ও ব্যবহার করায় ওই এলাকার বাসিন্দারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ওষুধ ও চিকিৎসাসেবার অভাবে রোগীরা মারা যাচ্ছেন।

রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুশৈথুই মারমা বলেন, দুর্গম এলাকার লোকজন ঝিরি ও ঝর্ণার দূষিত পানি পান করায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত পাড়া প্রধানসহ ৯ জন মারা গেছেন এবং শতাধিক আক্রান্ত রয়েছেন। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে মেডিকেল টিম কাজ করছে।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, রেমাক্রী এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা অপরিশোধিত পানি পান করছে। যার কারণে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। ওইসব এলাকায় ওষুধ ও স্যালাইন পাঠানো হয়েছে এবং ১০ জনের একটি মেডিকেল টিম ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া ওই এলাকায় দুই-একদিনের মধ্যে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।

(ওএস/এসপি/জুন ১৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test