E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘এ যেন আর একটি বিজয়ের আনন্দ’

২০২২ জুন ২১ ১৫:২৮:৪৮
‘এ যেন আর একটি বিজয়ের আনন্দ’

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১সালে আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। অস্ত্র হাতে নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯মাস যুদ্ধ করে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। ৭১ এর ডিসেম্বর মাসে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম। তখন আমরা বিজয়ের যে আনন্দ পেয়েছিলাম ঠিক আজ সে রকম একটি বিজয়ের আনন্দ পাচ্ছি। হাসিনা মা জননী আমাদেরকে পদ্মা সেতু করে দিয়েছেন। আগামী ২৫ তারিখ তিনি এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। আমরা এখন ৩ ঘন্টায় ঢাকা যেত পারবো’।

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ লুৎফর রহমান।

শুধু শেখ লুৎফর রহমানই নয় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়া উপজেলার সর্বস্থরের মানুষই আনন্দিত। উপজেলার গ্রামে গ্রামে, হাট বাজারে চলছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন টাঙিয়ে দিয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেতুটি চালু হওয়ার পরে এ জনপদের মানুষদের জীবনমানের উন্নতি হবে বলে মনে করছেন উপজেলাবাসী।

সেতুটি উদ্বোধনীর দিনে এ উপজেলা থেকে প্রায় ১০হাজার লোক উদ্বোধনী জনসভায় যোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভায় আমাদের ৫হাজার নেতা কর্মী যোগ দিবেন। সে মোতাবেক আমরা দলীয় ভাবে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এছাড়াও অনেক সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই এ জনসভায় যোগ দিবেন। সে হিসেব অনুযায়ী এ উপজেলা থেকে ১০হাজার মানুষ জনসভায় যোগ দিবেন বলে আমরা আশা করছি’।

ঘাঘর বাজার বর্ণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে এ উপজেলার ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ীক ভাবে লাভবান হবেন। কেননা ঢাকা থেকে মালামাল ক্রয় করে ট্রাকে করে নিয়ে আসতে আমাদের ৩/৪দিন সময় লাগতো। এখন আমরা ১দিনেই আমাদের মালামাল নিয়ে আসতে পারবো। এতে আমাদের ট্রাক ভাড়া আগের চেয়ে অনেক কম লাগবে। তবে আমি মনে করি পরিবহনের টোল আরো বাড়ানো উচিৎ। তাহলে দ্রুতই সেতুর টাকা উঠে আসবে। আমরা এই টাকা দিয়ে নতুন করে আবার একটি মেগা প্রকল্প হাতে নিতে পারবো’।

যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ লাভলু শেখ বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সুফল পেতে হলে কোটালীপাড়া থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো মাদারীপুরের রাজৈর হয়ে যেতে হবে। বাসগুলো যদি রাজৈর হয়ে না যেতে পারে তাহলে কোটালীপাড়াবাসী প্রকৃত অর্থে এর সুফল পাবেনা। কোটালীপাড়া থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো রাজৈর দিয়ে যাওয়ার সময় মাদারীপুরের শ্রমিক সংগঠন বাঁধা সৃষ্টি করে। আমরা চাইবো দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করে ঢাকাগামী বাসগুলো যেন রাজৈর হয়ে যেতে পারে’।

উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘কোটালীপাড়াবাসী যাতে পদ্মা সেতুর সুফল পায় তার জন্য সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পদ্মা সেতু চালু হলে এলাকায় ছোট ছোট শিল্প কলকারখানা তৈরী হবে। এতে করে এ জনপদের মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটবে’।

(টিকেবি/এএস/জুন ২১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test