E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

গাইবান্ধায় কমছে নদ-নদীর পানি, কমেনি দুর্ভোগ

২০২২ জুন ২৩ ১৮:২০:৪৮
গাইবান্ধায় কমছে নদ-নদীর পানি, কমেনি দুর্ভোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : এক সপ্তাহ ধরে গাইবান্ধা জেলার নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। গত চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে তা কমতে শুরু করছে। এখন তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে ১২টার দিকে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানিয়েছে, ঘাঘট নদের পানি সদর পয়েন্টের ২৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি চক রহিমাপুর পয়েন্টে ১৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে, বুধবার (২২ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘাঘট নদের পানি সদর পয়েন্টের ৪০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি চক রহিমাপুর পয়েন্টে ১১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার ৪টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলোকে বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। এর ফলে সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় পৌনে এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি জমেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছন্ন হওয়াসহ বেশ কিছু স্থানে শুরু হয় নদী ভাঙন। এমন ভাঙন সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘাঘট নদেও দেখা দিয়েছে। বন্যা আক্রান্ত এলাকার প্রায় ২ হাজার মানুষ ওঠেছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। আবার অনেকে পানির ওপর উঁচু চৌকি বা নৌকা ও ভেলায় বসবাস করছে। তাদের মধ্যে পয়নিঃস্কাশনসহ বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারা ত্রাণসামগ্রীর জন্য বিভিন্ন দিকে ছুটাছুটি করছে। সার্বিক বন্যার প্রভাবে প্রায় ১২৬টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেকে পানিবাহিত রোগের শঙ্কায় ভুগছেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, নদ-নদী ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা ও ভাঙন কবলিত স্থানগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা এসএম ফয়েজ উদ্দিন জানান, বন্যার্ত মানুষদের জন্য ৮০ মেট্রিকটন জিআর চাল ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। শুকনো খাবার, শিশু ও গো-খাদ্যও মজুদ রয়েছে।

জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুদ রয়েছে। এসব সামগ্রী দুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

(এস/এসপি/জুন ২৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test