E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২০২৩ সালে উদ্বোধন হবে ‘ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন’

২০২২ জুন ৩০ ১৫:০৯:৫৭
২০২৩ সালে উদ্বোধন হবে ‘ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বিশালাকৃতির ঝিনুক যেন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। আর তার পাশে ছড়িয়ে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি। কক্সবাজারের ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে এমন সুদৃশ্য আকৃতি নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশনটি। নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আইকনিক এ রেলস্টেশন। এর মনোমুগ্ধকর নকশা সকল স্তরের মানুষকে বিমোহিত করেছে। এখন প্রায় শেষের পথে নির্মাণ কাজ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরতলীর ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়ায় তৈরি করা ছয়তলা ভবনের এ স্টেশনে থাকছে তারকামানের হোটেল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, শিশু যত্নকেন্দ্র। নিচ তলায় থাকচে টিকেট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কক্ষ, তথ্যকেন্দ্র, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, মসজিদ, শিশুদের বিনোদনের জায়গা এবং তিনটি প্লাটফর্ম। থাকছে লকার বা লাগেজ রাখার স্থান।

সম্প্রতি পরিদর্শনে এসে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৩ সালের বিজয় দিবসের দিন দোহাজারি-কক্সবাজার রেল লাইন উদ্বোধন হবে। মন্ত্রী বলেন, দেশের সব রেলস্টেশনের মধ্যে সুন্দরের তালিকায় এক নম্বরে থাকবে কক্সবাজারের এই আইকনিক রেলস্টেশনটি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে নেমে পর্যটকেরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রেখে সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে। এছাড়াও কক্সবাজারে ২৯ একর জমির ওপর গড়ে ওটা আইকনিক রেল স্টেশনটি আয়তন ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুট। থাকছে মূল ভবন ছাড়াও ১৭টি স্থাপনা।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স'র ম্যানেজার আব্দুর জাব্বার মিলন জানান, এই আইকনিক রেলস্টেশন তৈরিতে দিন–রাত কাজ করছেন ১৫০ জন প্রকৌশলীসহ প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। আইকনিক স্টেশন ভবনের মূল কাঠামোর নির্মাণ কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে এই

ম্যাক্স'র প্রজেক্ট ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে এমন দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন। সাথে ইতোমধ্যে কক্সবাজারের রামু, ঈদগাঁও, পেকুয়া ও চকরিয়া অংশে প্রায় ২৮ কিলোমিটার রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। সৌন্দর্য্যকে প্রাধান্য রেখে সবকিছুর সমন্বিত কাজ চলছে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, করোনার কারণে কাজ করতে সমস্যা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বিদ্যুতের খুটি সরাতে না পারা, গাছ কাটার অনুমতি না পাওয়া, জমি পেতে সমস্যার কারণে কাজ বিলম্বিত হয়। আগামী বছর ২৩ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, রেল যোগাযোগ কক্সবাজারের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক গতিশীলতা তৈরি করবে। তার মধ্যে পর্যটন ও ব্যবসায় ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গতি আনতে। রেল যোগাযোগ কক্সবাজারের ব্যবসার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

(জেজে/এএস/জুন ৩০, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test