E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নোয়াখালীতে গৃহপরিচারিকার লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

২০২২ জুলাই ০১ ১৫:০১:৪৬
নোয়াখালীতে গৃহপরিচারিকার লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীতে এক গৃহপরিচারিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতরে স্বজনেরা তাকে হত্যার অভিযোগ তুলেছে। 

নিহত মাহিনুর আক্তার (১৯) বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের তালিবপুর গ্রামের বড় মোল্লা বাড়ির মো. নুরুল হকের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত মাহিনুরের মা মায়া বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের কারণে মেয়েকে ওই বাসায় কাজে দিয়েছিলাম। আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম দায়িত্ব নিয়ে এক বছর আগে তার ভাই নাছিম উদ্দিন বাবুর বাসায় মাহিনুর আক্তারকে গৃহপরিচারিকার কাজ দেন। এরপর থেকে মাহিনুরের ওপর নির্যাতন চালাতেন বাবু ও তার স্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবু ও তার পরিবারের লোকজন মাহিনুরকে মেরে মরদেহ ঝুলিয়ে তা আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।

মাহিনুরের ভাই মামুন হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মাহিনুরের বাসার মালিক নাছিম উদ্দিন বাবু মোবাইলে আমাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আসতে বলে দ্রুত ফোন কেটে দেন। আমরা হাসপাতালে গিয়ে মর্গের ভেতর মাহিনুরের মরদেহ দেখতে পাই। হাসপাতালে লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি, মাহিনুরের মরদেহ হাসপাতালে রেখেই বাসার লোকজন চলে যায়।’

মামুন অভিযোগ করে বলেন, ‘মাহিনুরের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাবু ও তার বাসার লোকজন মাহিনুরকে হত্যার পর ঘরের একটি কক্ষে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছেন। পরিকল্পিত এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযুক্ত নাছিম উদ্দিন বাবু বলেন, ‘চলাফেরা নিয়ে মাহিনুরকে আমার স্ত্রী বিভিন্ন সময় বকাঝকা করতো। এজন্য আমাদের ওপর তার অনেক রাগ ছিল। উল্টাপাল্টা চললেও আমার বাচ্চা তাকে অনেক পছন্দ করতো তাই রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে যে এমন কাজ করবে আমরা ভাবতে পারিনি।’

নাছিম বাবুর দাবি, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে তার কক্ষ থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের বাইরে থেকে ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে দেখতে পাই। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দ্রæকত তাকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদনাত করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানাই।’

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আসিফ মো. বখতিয়ার বলেন, ‘মৃত অবস্থায় ওই যুবতীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মৃতের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(আইইউএস/এএস/জুলাই ০১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test