E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজবাড়ীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৩৬ হাজার পশু

২০২২ জুলাই ০৩ ২৩:০৫:০৭
রাজবাড়ীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৩৬ হাজার পশু

একে আজাদ, রাজবাড়ী : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজবাড়ীর গরু খামারীরা। গরুর যত্ন নিতে রাত দিন পরিশ্রম করছেন তারা। বাহারী নাম রেখে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন অনেক খামারী। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ হবে কীনা তা নিয়ে চিন্তিত খামারীরা। কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৭৭টি পশু। প্রাণিসম্পদ  কর্মকর্তারা বলছেন, যত পশু প্রস্তুত করা হয়েছে তা দিয়ে জেলার চাহিদা মিটে যাবে।

জেলার কয়েকটি গরুর খামারে গিয়ে দেখা গেছে খামারীদের ব্যস্ততা। রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ি ইউনিয়নের খালেক ডেইরি ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, গরুর যত্ন নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা। পানি দিয়ে খামারের গরুগুলোকে গোসল করাচ্ছেন। খাবার দিচ্ছেন।

খালেক ডেইরি ফার্মের মালিক আব্দুল খালেক মন্ডল জানান, তাদের ফার্মে ৪০টির মত গরু আছে। প্রতিদিন ৬ হাজার টাকার খাবার দিতে হয় গরুগুলোকে। খড়, ঘাস, ভুষিসহ নানার খাবার খাইয়ে গরুগুলোকে তাজা রাখেন। সম্প্রতি গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। কমে গেছে দুধের দাম। যেকারণে কোরবানীর হাটে গরু বিক্রি করে কতটা লাভ হবে তা নিয়ে সংশয় আছে।

এই খালেক মন্ডলের ছেলে মারুফ হোসেন জানান, গরুর পেছনে দিন রাত পরিশ্রম করেন তারা। গরুর খাবারের দাম প্রচন্ডভাবে বেড়ে গেছে। কোরবানী হাটে বিক্রির জন্য বেশ কয়েকটি গরু প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। যে পরিমাণ খাবারের দাম বেড়েছে সেভাবে দাম না পেলে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় মোট গরুর খামারের সংখ্যা ৫হাজার ১০টি, ছাগল খামার রয়েছে ৩ হাজার ২০৫টি। এছাড়া ভেড়ার খামার ৬০টি এবং মহিষের খামার রয়েছে ২০টি। জেলায় এবার কোরবানীর জন্য গরু প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৭৭টি।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল হক সরদার বলেন, রাজবাড়ী জেলায় ৮ হাজার ২৯৬টি খামারে কোরবানীর জন্য ৩৬ হাজার ৫৭৭টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ রয়েছে। এসব পশু স্বাভাবিক খাবার খেয়ে বেড়ে উঠেছে। প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিােত হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে গত বছর যত পশু কোরবানী দেওয়া হয়েছে এবারের প্রস্তুত করা পশুর সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। আশা করছি আমাদের জেলার পশু দিয়েই কোরবানী সম্পন্ন করা যাবে। বাইরে থেকে আর আমদানী করতে হবেনা। জেলার খামারগুলোতে বেশ কিছু গরু আছে যেগুলো ৩০ থেকে ৩৫ মণ ওজনের। এতে করে একদিকে খামারীরা যেমন লাভবান হবে অন্যদিকে মাংসের চাহিদা দারুনভাবে পুরণ হবে। জেলায় ২০টি কোরবানীর হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এসব হাটে ভেটেরনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে তারা চারটি সেমিনার করেছেন। যাতে করে মুসল্লিরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পশু কোরবানী দিতে পারে

(একেএ/এসপি/জুলাই ০৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test