E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নোয়াখালীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু

২০২২ জুলাই ০৫ ২১:২৯:৪৯
নোয়াখালীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : ঈদুল আযহা সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা, দেশীয় উদ্যেক্তাদের টিকিয়ে রাখেতে সরকারের নিয়ন্ত্রয় চায় তারা।

ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে নোয়াখালীতে প্রায় সাড়ে হাজার গবাদী পশু পালনকারী খামারীরা রয়েছে। সারা বছর ধরে নিজ নিজ খামারে বা বাড়ীতে গবাদি পশু গুলোকে দেশীয় খাবার খাইয়ে ও মোটা তাজা করে বর্তমানে বাজারে কোরবানির জন্য বিক্রয় করার উপযোগী হিসেবে করে তোলা হয়েছে। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন জেলা প্রায় লক্ষাধিক কোরবানীর পশু রয়েছে। চাহিদার চেয়েও প্রায় দশ হাজার বেশী।

ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় খামার মালিক-কর্মচারীর পাশাপাশি ঘর গৃহস্থলে গবাদি পশু পালন কারীরা। দিন-রাত তারা পশু গুলোর নানা ভাবে পরিচর্যা করছেন। গবাধি পশু গুলো রাখার স্থান নানাভাবে জীবানুনাশক ঔষধ ছিটিয়ে দেয়ার পাশাপাশি পশু গুলোকে নিয়মিত পরিস্কার পানি দিয়ে গোসল করাচ্ছেন। কোন রকম জীবানু বা ভাইরাস যেনো পশু গুলোর শরীরে সংক্রমন না করাতে পারে তর জন্য সবাই সর্তক রয়েছেন। সবাই কোরবানি পশু জবাই দেয়ার আগে এটি পুরোপুরি সুস্থা কিনা তা যাচাই বাচাই ক্রয় করে।

নোয়াখাালীতে বিগত কয়েক বছর ধরে অসংখ্য ছোট বড় গবাদি পশু খামার গড়ে উঠেছে। খামারগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উন্নত জাতের গরুর বাচ্চা ক্রয় করে এনে খামার গুলোতে রেখে বিভিন্ন খাবার খাইয়ে ও স্বাস্থ্য সম্মতভাবে পরিচর্যা করে মোটা তাজাকরণ করা হয়। প্রতিটি খামারের মালিক বাজার থেকে বস্তাজাত বিভিন্ন গো খাদ্য ক্রয় করে পশু গুলোকে খাওয়ান। বর্তমানে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে খামার মালিকরা বাড়তি দামে গো খাদ্য কিনতে হচ্ছে। এতে খামারীরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বাড়তি দামে গবাদি পশু বিক্রি করতে না পারলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।

ঈদের সময় এখন স্থানীয়ভাবে বাজারে পশুর অনেকে যোগান রয়েছে। আগের মতো পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল,ভুটান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পশুর জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় না। যেই যার মত দেখে শুনে ক্রয় করতে পারবে, স্বাদ এবং সাধের মধ্য এতে ক্রেতারা খুশী। জেলার বেগমগঞ্জ শরীয়ত ডেইরী এন্ড পোল্টি, আল মদিনা ডেইরী এবং মানফাত মিট ক্যাটেল এন্ড ডেইরী ফার্মে পাঁচশতকোরবানীর বিভিন্ন জাতের ও আকারের গরু রয়েছে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানান, জেলায় সাড়ে ছয় হাজার খামারি রয়েছে। এতে কোরবানির ঈদের জন্য ৮৯ হাজারের স্থলে ৯৯ হাজার গরু মহিষ বা ছাগল রয়েছে। চাহিদার তুলনায় ১০ হাজার বেশী। এছাড়া ক্রয় বিক্রয়ের জন্য জেলা উপাজেলা পর্যায়ে কয়েকটি মিটিং ও বাজার মনিটিং সেল গঠন করা হয়েছে।

(আইইউএস/এএস/জুলাই ০৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test