E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ফেনীতে তিন ভাইয়ের মৃত্যু, মামলা হয়নি, দুই লক্ষ টাকায় দফারফা

২০২২ জুলাই ২৮ ২০:১৪:৪৩
ফেনীতে তিন ভাইয়ের মৃত্যু, মামলা হয়নি, দুই লক্ষ টাকায় দফারফা


সৈয়দ মনির, ফেনী : ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনদিন পরও মামলা হয়নি । প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।  পুলিশের ভাষ্যমতে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ না দেয়ায় পুলিশের কিছুই করার নেই । তবে দুই লক্ষ টাকায় দফারফার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই। বাগেরহাট থেকে ফেনী এসে মামলা চালানোর মত সাম্যর্থ নেই।

জানা যায়, ফেনী শহরের নাজির রোডের বাসিন্দা রুহুল আমিনের নির্মানাধিণ একটি ভবনের নিচতলা ভাড়া থাকতেন বাগের হাটের মোড়েলগঞ্জের ফুলহাতা গ্রামের ছৈয়দ আলী মুন্সির ছেলে, নুরুল ইসলাম মুন্সী (৫২) , মো. আবদুর রহমান মুন্সী (৪৯) ও মো. মুনীরুজ্জামান মুন্সী (৪২)। তারা ফেনীতে দিন মজুর হিসেবে কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভবনের নিচ তলায় একটি সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়। ওই বিষ্ফোরণে তিনভাই নিহত হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ওপরে একটি কক্ষে থাকতেন ওই শ্রমিকরা। ওই ট্যাংকের গ্যাস সঞ্চালনের কোন সুযোগ না রাখায় দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস জমাট হয়।ওইদিন হঠাৎ বিকট শব্দে ট্যাংকটি বিস্ফোরিত হয়। এতে ভবনের নিচতলাসহ ওপরের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাস্থলে তিসভাই নিহত হন।

ফেনী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটিতে সেপটিক ট্যাংকের গ্যাস অপসারিত হওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না, ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, বিষ্ফোরণে তিন জনের শরীর ক্ষতবিক্ষত হযে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিন ভবন সহ সকল ভবনের অনুমোদন দেয়ার সময়সেফটিক ট্যাংকের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয় । কোন শর্ত ও নির্দেশনা পালন করেনি ওই ভবন মালিক।

নিহতদের ভাই আল আমিন বলেন, সেই ভবনে আমার তিনভাই ভাড়া থাকতেন । মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় তিনভাই হারিয়ে আমরা হতভম্ব। ভবন মালিক রুহুল আমিন ও তার ছেলে সোহাগ স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে বলেছে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দিবেন। তাই তাদের অনুরোধে আমরা মামলা সহকোন প্রকার অভিযোগ না দিয়ে লাশগুলো গ্রহন করে বাগেরহাটে নিয়ে আসছি।

বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলনের চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন, পৌরসভার শর্ত অমান্য করায দন্ডবিধি অনুযায়ী এুিট একটি হত্যাকান্ড । ভবন মালিক রুহুল আমিনকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। পরিবার মামলা দিতে অপারগ হলে পুলিশ অথবা পৌর কর্তৃপক্ষ মামলা দিতে পারেন।

ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, নিহতদের পরিবার লিখিত কোন অভিযোগদেয়নি তাই ব্যববস্থা নিতে পারছেনা পুলিশ। রফাদফার বিষয়ে কিছুই জানেনা ওসি।

(এসএম/এএস/জুলাই ২৮, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test