E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিয়ামতপুরে অপরিকল্পিত ও নিম্নমানের ড্রেন নির্মােণর অভিযোগ

২০২২ আগস্ট ০২ ১৭:০৪:৫০
নিয়ামতপুরে অপরিকল্পিত ও নিম্নমানের ড্রেন নির্মােণর অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : জলাবদ্ধতা নিরসনে নওগাঁর নিয়ামতপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে  ড্রেন নির্মানের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতা ও অপরিকল্পিত পরিকল্পনার কারণে নষ্ট হবে সরকারের এই লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেন।

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে, সীমানা নির্ধারণ না করে পাকা রাস্তার ধার ঘেঁসেই নির্মাণ হচ্ছে এই ড্রেন। ভবিষ্যতে রাস্তা প্রসস্থ করার প্রয়োজন হলে ড্রেনের কারণে তা সম্ভব হবে না। রাস্তা প্রসস্থ করতে হলে ড্রেন ভাংতে হবে। তা ছাড়া ড্রেন নির্মাণে বৃষ্টির পানির মধ্যেই ঢালাই দিচ্ছে যা কখনই কাম্য নয়।

উপজেলা সদরের চালহাট্টি হতে চার মাথার মোড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণে বৃষ্টির পানি জমা থাকলেও সেই পানির মধ্যেই ঢালাই এর কাজ করা হয়েছে। উপজেলা গেটের সামনে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের প্রাচীর ঘেঁসে ড্রেনে ঢালাই এর কাজও বৃষ্টির পানির মধ্যেই হয়। এছাড়া ড্রেনের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি, সোলার বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই ড্রেনের কাজ করছে। যা পানি নিষ্কাসনে বাধার সম্মুখীন হবে।

জানা গেছে, উপজেলা গেটের সামনের ড্রেনের কাজ অত্যন্ত নিmgbমানের। ঢালাই এর সময় রড মাঝখানে না থেকে এক সাইডে থেকে যাচেছ। বলা যেতে পারে কাজের মান হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এ বিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজেদুর রহমান বলেন, ড্রেন নির্মানে কোন অনিয়ম হওয়ার কথা না। দেশের সেরা ঠিকাদার মেসার্স আমিনুল হক কাজটি করছেন।

পানির মধ্যে ঢালাই প্রসঙ্গে বলেন, পানির মধ্যে ঢালাই এর কাজ করা সম্ভব, যদি তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন। করেছে কি না জানি না। বিষয়টি আমি দেখবো। আর বিদ্যুতের খুঁটির বিষয়ে তিনি বলেন, খুঁটি স্থানান্তর করার মত কোন জায়গা নেই। তাই সরানো যায়নি। আমরা এখানে ড্রেন নির্মাণ করতে চাইনি। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনুরোধে ড্রেন নির্মাণ করছি। খুঁটি থাকলেও পানি নিস্কাসনের কোন সমস্যা হবে না। হলে দেখবো।

সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলী তার নিজের নামও বলতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অন্য পন্থায় জানা দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, কাজের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান, এলজিইডির প্রতিনিধি, সদর ইউপি চেয়ারম্যান দেখে গেছেন। কাজ সঠিকভাবেই হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফারুক সুফিয়ান বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখি। এষ্টিমেট কিভাবে আছে, দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

(dhএস/এসপি/আগস্ট ০২, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test