E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন 

২০২২ আগস্ট ১৬ ১৬:৫৭:৪০
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন 

দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : রুহুল আমিন (রিপন মোল্লা) ও হাজী নাজমুল ইসলাম (বাবু মোল্লা) এর বিরুদ্ধে ঢেউখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাজী নাজমুল ইসলাম বাবু মোল্লার স্ত্রী মোসাম্মত মিলি আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ১৮ ই মে ঘটে যাওয়া ঢেউ খালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির পুত্র রাফসান হত্যা ও তার স্ত্রী রত্নার উপর আক্রমণের জন্য আমার স্বামী হাজী নাজমুল ইসলাম (বাবু মোল্লা) ও আমার ভাসুর রুহুল আমিন (রিপন) মোল্লার বিরুদ্ধে এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমার স্বামী ১৯৯০ সাল থেকে কাতারে ও আমার ভাসুর ২০০৭ সাল থেকে ইতালি থাকে। আমার শ্বশুর একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন আমার স্বামী ও ভাসুর ধর্ম ও ন্যায় পরায়ণ মানুষ আমার স্বামী ও ভাসুর বিরুদ্ধে এলাকায় কোন আইন বিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ এর অভিযোগ নেই।

গত ১৮ মে চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়িতে সে সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে আমার স্বামী তখন বাবুরচর তহ শীলদার অফিসে অবস্থান করেছিলেন। সে সময় তহশিলদার অফিসের কর্মকর্তা পারভেজ ও আসমা উপস্থিত ছিলেন। আমার স্বামীর সাথে জমির নামধারী বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রায় বেলা ২টা ৩০ থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত।
আমার ভাসুর উক্ত ষড়যন্ত্রের সময় ঢেউখালী বাজারে আমাদের দোকান ঘরের কারেন্টের কাজ মিস্ত্রি দিয়ে করছিল।

আমার ভাসুরকে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান তার পক্ষে নির্বাচন করতে বলে কিন্তু তিনি তা না করায় যার জন্য চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার কিছুদিন আগে আমার স্বামীর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির এক আত্মীয়র কাছ থেকে জমি ক্রয় করে। কিন্তু চেয়ারম্যান উক্ত জমি ক্রয় করতে বাধা দেয়। এর কিছুদিন পর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির সদরপুরের বাসায় দিনের বেলা আক্রমণ হয় যাতে চেয়ারম্যান পুত্র মারা যায় ও স্ত্রী জখম হয় আমরা এলাকাবাসী বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি ওই ঘটনাটি ঘটেছে এরশাদ মোল্লা নামক এক ব্যক্তি ঘটনাটি ঘটার পরপরই উত্তেজিত জনতা এরশাদ মোল্লার বাড়িতে আগুন দেয় এবং তাদের ভাইদের বিভিন্ন জায়গায় মেরে গত ১৬ই মে তারিখে এরশাদ মোল্লার বউ ছাড়াছাড়ি নিয়ে মিজানুর রহমান বয়াতির সাথে সদর পূর্ব জেলা পরিষদের সালিশ হয় ওই সালিশে এরশাদ মোল্লা কে বউ ছাড়ার জন্য চেয়ারম্যান তিন লক্ষ টাকা দিতে বলা হয় যার জন্য এরশাদ মোল্লা চেয়ারম্যান এর পর ক্ষিপ্ত হন ১৮ মে তারিখে দিনের বেলা হত্যাকাণ্ড টি ঘটার পর সন্ধ্যার সময় এরশাদ নিজে আটরশি টিএনটি টাওয়ার থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যান সাহেব বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলেন এরশাদ মোল্লা ঘটনাটি একা ঘটিয়েছেন ঘটনার ১৩ দিন পর চেয়ারম্যান ৩১শে মে আমার স্বামী ও ভাষুর বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অসত্য বানোয়াট ও আজগুবি মামলা দায়ের করা হয় । আমি আপনাদের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সকলকে বলতে চাই এই মিথ্যা মামলা থেকে আমার স্বামী ও ভাসুরকে মুক্তি দেয়া হোক।

প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম পিকুল এর সভাপতিত্বে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিপন মোল্লার স্ত্রী সালমা বেগম, রুহুল আমিনের মেয়ে ফারজানা আক্তার, ছোট মেয়ে সাদিয়া সুলতানা, ছেলে রিফাত আমিন, মসজিদের ইমাম শামিম হোসেন জামান, লিপি আক্তারের ভাই মিলন ফকির। এ সময় ফরিদপুরের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(ডিসি/এসপি/আগস্ট ১৬, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test