E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘ফেরা’ মঞ্চায়িত

২০২২ আগস্ট ২০ ১৩:১১:২৩
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘ফেরা’ মঞ্চায়িত

একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি হোক আমাদের আত্মোপলব্ধির প্রথম পাঠ'— এই স্লোগান সামনে রেখে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজবাড়ী-ফরিদপুর সাংস্কৃতিক বিনিময়-২০২২ আলোচনা সভা, গুণীজন সম্মাননা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘ফেরা’ মঞ্চায়িত করেছে।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদ রাজবাড়ী ও খেয়া সাংস্কৃতিক সংস্থা ফরিদপুরের যৌথ আয়োজনে এই আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে দুই গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি সালাম তসিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার অনুপস্থিত থাকায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ম. নিজাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি অসীম কুমার পাল, মাদারীপুর জেলার কালচারাল অফিসার ও খেয়া সাংস্কৃতিক সংস্থার সহসভাপতি সাইফুল হাসান মিলন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আলতাব হোসেন, সংবর্ধিত গুণীজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম খান ও করোনাযোদ্ধা ডা. ওয়াজেদ জামিল।এ ছাড়া মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদ ও খেয়া সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম খান ও করোনাকালে বিশেষ অবদান রাখায় ডা. ওয়াজেদ জামিলকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, স্কুলজীবন থেকেই আমি মীর মশাররফ হোসেনের লেখার সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে যেসব নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা আমাদের চলার পথকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করছে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে তার সম্পর্কে জানতে হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে হবে।

উল্লেখ্য, সম্মাননাপ্রাপ্ত ডা. ওয়াজেদ জামিল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের বাসিন্দা। তিনি এমবিবিএস পাস করে ২০১৫ সালে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন এবং একই সময়ে তিনি গোয়ালন্দে কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থার মেডিকেল চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা দিতে ঢাকার চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারে ছুটে যান। সেখানে তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে ২০১৭ সালে মেডিকেল চিকিৎসক হিসেবে রোহিঙ্গাদের সেবা দেন।

ডা. ওয়াজেদ করোনাকালীন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে তিনি নিজেও দুবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ড. ওয়াজেদ জামিল তার নানা স্বপ্নপূরণের জন্য গোয়ালন্দের উজানচরে হতদরিদ্র মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

আরেক গুণীজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম খান মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি রাজবাড়ী জেলার মৃগী, বালিয়াকান্দি, পাংশা, খোকসাসহ অন্যান্য স্থানে পাক হানাদার ও বিহারিদের কবল থেকে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজবাড়ী শহর শত্রুমুক্ত করতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর থেকেই তিনি মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। বর্তমানে তিনি একজন বিশিষ্ট পল্লিচিকিৎসক।

(একেএমজি/এএস/আগস্ট ২০, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test