E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লংগদু উপজেলার দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকায় আঞ্চলিক দুটি গ্রুপের মাঝে বন্দুকযুদ্ধ

২০২২ আগস্ট ২৪ ১৬:২৮:২০
লংগদু উপজেলার দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকায় আঞ্চলিক দুটি গ্রুপের মাঝে বন্দুকযুদ্ধ

রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা রাঙ্গামাটি সদর, নানিয়ারচর ও লংগদু উপজেলার সীমান্তবর্তী কাট্টলীর ত্রিপুরাছড়া দুর্গম এলাকায় আঞ্চলিক দুটি গ্রুপের মাঝে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১ জন নিহত ও ৪ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যাক্তি পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সক্রিয় কর্মী শ্যামল চাকমা (৪৫)। গতকাল রাত ৮ থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টার বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটে। 

ইউপিডিএফ এর মুখপাত্র অংগ্যা মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর লংগদু কাট্টলী বিল এলাকায় অবস্থান করা ইউপিডিএফ কর্মী শ্যামল চাকমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে। নিহত অংগ্য মারমার বাড়ি রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলাধীন সদর ইউনিয়নে।

এদিকে, লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি শুনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টিমসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি । লাশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত হতাহতের বিষয়টি এখনো পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারবো না।

এদিকে, বুধবার ভোর থেকেই ইউপিডিএফ বিরোধী জেএসএস এর কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের ফেসবুক পেইজে কাট্টলীতে রাতের অপারেশনে ইউপিডিএফ এর ৬ কর্মীকে হত্যা ও ঘটনাস্থল থেকে দুইটি একে-৪৭ রাইফেল লুট করে নিজেদের কব্জায় নিয়েছে বলে ফেসবুকে অস্ত্রের ছবি ও তথ্যাদির প্রচার প্রচারনা চালালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সত্যতা মেলেনি।

এই ঘটনার জন্য সন্তু লারমার দল জেএসএসকে দায়ি করে ইউপিডিএফ নেতা অংগ্যা মারমা বলেছেন, এটা সম্পূর্নভাবেই রাজনৈতিক কিলিং মিশন। এই ধরনের সংঘাত বেধে দিয়ে পার্বত্য এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রাখার পায়তারা চলছে।

আজ সকালে রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. ওবায়দুর রহমান এর সাথে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরাও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে গুলিবিমিয়ের ঘটনা শুনেছি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা হতাহতের যে সংবাদগুলো শুনতে পাচ্ছি সেগুলোর সত্যতা এখনো খুঁজে পায়নি। যেহেতু এলাকাটি বেশ দুর্গম। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে এবং এলাকার পরিস্থিতি জানতে ওই এলাকায় রওনা করছে।

তিনি বলেন, পাহাড়ে ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করে আমরা যখন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের যাত্রার লক্ষ্যে সরকারকে একটি লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। সেই থেকে জেএসএস এর নেতৃত্বাধীন একটি গোষ্ঠি আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যার মিশনে নেমেছে। এটা থেকে প্রতিয়মান হয়যে সন্তু লারমা নিজেই পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন চায়না।

(আরএম/এসপি/আগস্ট ২৪, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test