E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডা. জাফর উল্যাহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী

২০২২ আগস্ট ২৬ ২১:১৯:৪৯
ডা. জাফর উল্যাহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : শুরু হয়েছে জেলা পরিষদের নির্বাচনী হাওয়া, এরই মধ্যে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা। কষছেন অতীত ভবিষ্যৎ এর নানা হিসেব নিকেষ। উন্নয়ন, মূল্যায়ন, স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা কতটুকু পূরণ হলো তা নিয়ে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ চলছে রাজনৈতিক মহলে। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নোয়াখালী জেলা পরিষদের ভোট। সময় কম কাজ বেশী, কেন্দ্র থেকে পাড়া মহল্লা সব জায়গায় এখন একটাই আলোচনা হবে হবেন জেলা পরিষদের কান্ডারী!।

এরই মধ্যে নোয়াখালী জেলা পরিষদ আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গণসংযোগ করছেন ডা. এ.কে.এম জাফর উল্যাহ। বর্তমান চেয়ারম্যান এবিএম জাফরুল্লাহর সাথে গতবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সামান্য ভোটে ব্যাবধানে হেরে যান। তবে একটিবার ডাক্তার জাফর উল্যাহকেই চাইছেন অধিকাংশ ভোটারগণ। নাম না প্রকাশে একজন ভোটার বলেন, বিগত দিনে ডাক্তার এ কে এম জাফর উল্যাহ আমাদের সাথে ছিলেন, আমরা চাই দলীয় ভাবে ডাক্তার এ কে এম জাফর উল্যাহকে একটিবার সুযোগ দেয়া হোক। তিনি শিক্ষিত মার্জিত, দানবীর এবং দলের একজন নিবেদিত কর্মি।

কে এই ডা. জাফর উল্যাহ!
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নে যাদবপুর গ্রামের মরহুম মাস্টার তাজুল ইসলামের বড় ছেলে ডা. এ.কে.এম জাফর উল্যাহ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ১৫ অক্টোবর। এমবিবিএস, এমপিএস, পিএইচডি, ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে বিসিএস কর্মকর্তা হিসেবে স্বাস্থ্য পরিবারে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনসাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর পরিচালক থেকে অবসর গ্রহণ করেন। জনবল ও উন্নয়ন পরিকল্পনার উপর আমেরিকার হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এমবিবিএস ডিগ্রি গ্রহণের পর থেকে নোয়াখালী নিজ এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

ডা. এ.কে.এম জাফর উল্যাহ ফাউন্ডেশন স্থাপন করে সেখানে তাজুল ইসলাম মডেল একাডেমী, বায়তুল আজিম জামে মসজিদ স্থাপন, ডা. এ.কে.এম জাফর উল্যাহ জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন, রূপালী তালুকদার ওল্ড হোম (বৃদ্ধাশ্রম) স্থাপন, সোনালী তালুকদার অরফান হোম (এতিমখানা) স্থাপন, ডা. জাফর উল্যাহ জামে মসজিদ স্থাপন, এ.কে.এম সিরাজ উল্যাহ কিন্ডার গার্টেন স্থাপন, মরহুম ইসমাঈল হাসমতেরনেছা গণকবর স্থাপন করেন তিনি। এছাড়াও বহু শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র অসহায় মানুষকে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করে থাকেন। চিকিৎসা ও মানবসেবা স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৬ সালে মাতার তেরেসা স্বর্ণপদক লাভ করেন।

ছাত্র জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগে যোগদান করেন, ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনে পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ভূমিকা পালন করেন এবং কলেজ জীবনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত জীবনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।

গতবার নোয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনি একজন শাক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন, সামন্য ব্যাবধানে হেরে যান তিনি। তবুও ধমেযান নি তিনি। পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। প্রতিনিয়ত ভোটারদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন গত, করোনাকালে তিনি বহু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। অনেক অসহায় মেম্বারগণকে তিনি আর্থিক সহায়তাকরেছেন, চিকিৎসা সহায়তা করেছেন। এবারে দল থেকে মনোনয়ন পেতে দলের শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি। এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ভোটকে স্বাগত জানিয়ে আগাম বার্তা দিচ্ছেন তিনি, দোয়া চাইছেন সকল ভোটারের কাছে।

একান্ত আলাপ কালে তিনি বলেন, আমাদের জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেক মেম্বার, চেয়ারম্যান নোয়াখালী জেলা শহরে কাজের জন্য আসেন, অনেককে থাকতে হয় ২/৩ দিন আমি নির্বাচিত হলে প্রথমে জেলা শহরে চেয়ারম্যান মেম্বারদের জন্য জরুরি কাজ সম্পন্ন করতে আবাসন/আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থা করবো যেখানে তারা বিনামূল্যে থাকতে পারবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেসকল জায়গায় এখনো উন্নয়ন হয়নি চাহিদার ভিত্তিতে সকল জায়গায় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। কতিপয় কয়েকজন প্রভাবশালী জেলা শহরে ভূমিদখল করে রেখেছেন যেখান থেকে সরকার বা জেলা পরিষদ কোন সুবিধা পাচ্ছেনা ঐসকল জায়গা পরিষদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। তিনি সমালোচনার সুরে বলে, বিগত দিনে জেলা পরিষদে স্বচ্ছতা, তদারকি ছিলোনা, জবাবদিহিতার অভাব ছিলো, যে পরিমাণ উন্নয়ন হবার কথা ছিলো আশানুরোপ হয়নি।

আওয়ামীলীগ সভাপতি বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমাদের নোয়াখালীর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়। আমি ইনশল্লাহ উন্নয়নে, অবদানে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার মাধ্যে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে নোয়াখালীর মুখ উজ্জ্বল করবো। ভোটারগণ আমার সাথে আছেন, আমি ও সব সময় তাদের পাশে আছি, আমার বিশ্বাস ভোটারগণ এবার আমাকে মূল্যায়ন করবে।

(আইইউএস/এএস/আগস্ট ২৬, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test