E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধার দেওয়া টাকা আনতে গিয়ে লাশ

২০১৪ এপ্রিল ২৭ ২০:৪২:৩৭
ধার দেওয়া টাকা আনতে গিয়ে লাশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : ধার দেওয়া টাকা আনতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার বাগুটিয়া ইউনিয়নের চর ছলিমাবাদ গ্রামের মৃত সিকান্দার আলী সেখ এর ছেলে স’মিল ব্যবসায়ী আবুল কাশেম।

চৌহালী থানা পুলিশ ও নিহত আবুল কাশেমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মোঃ আবুল কাশেম চর ছলিমাবাদ গ্রামের আব্দুল মজিদ এর ছেলে সিলেট জেলায় বসবাসরত জহুরুল ইসলামকে এক বছর আগে এক লাখ টাকা ধার দেয়। তিন মাস পরে এই টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও জহুরুল টাকা ফেরত না দিয়ে নানা রকম তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত সপ্তাহে জহুরুল সিলেট থেকে গ্রামের বাড়ী আসলে কাশেম টাকার জন্য জহুরুলকে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে জহুরুল কাশেমকে টাকার জন্য সিলেটে যেতে বলে। এর পর গত ২১ এপ্রিল কাশেম সিলেট যায় এবং জহুরুলের সাথে দেখা করে। ঐ দিন রাতে জহুরুল ও কাশেম উভয়ই চৌহালীতে তার পরিবারের সাথে কথা বলে এবং ভাল ভাবে পৌঁছেছে বলে মুঠোফোনে জানায়।

পরদিন মঙ্গলবার রাতে জহুরুল কাশেমের স্ত্রী আসমা খাতুনের কাছে ফোন করে জানায় যে, তার স্বামীকে আটকে রাখা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা না দিলে তাকে তারা ফেরত দেওয়া হবে না। এর পর থেকে জহুরুলের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে মুক্তিপনের খবর পাওয়ার পর কাশেমের স্ত্রী আসমা খাতুন চৌহালী থানায় গত ২৫ এপ্রিল একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। একই সাথে বিষয়টি র‌্যাবকে অবহিত করানো হয়। র‌্যাব সদস্যরা সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রবিবার জেলার দক্ষিন সুরমা থানা এলাকার লন্ডন প্রবাসী এক ব্যাক্তির দোতলা বাড়ীর টয়লেটের ভিতর থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় কাশেমের লাশ উদ্ধার করে।

কাশেমের ছেলে ইসমাইল হোসেন জানায়, তার পিতাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাশেমের লাশ সিলেট সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানে ময়না তদন্ত শেষে সোমবার চৌহালীতে আনা হবে। হত্যা ঘটনায় জড়িত জহুরুলের সাথে আরও কয়েক জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না।

(এসসি/অ/এপ্রিল ২৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test