E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

শরীয়তপুরে সাড়াশী অভিযানের মধ্যেও ইলিশ শিকার করছে জেলেরা

২০১৪ অক্টোবর ০৯ ১৫:৩৩:৫৯
শরীয়তপুরে সাড়াশী অভিযানের মধ্যেও ইলিশ শিকার করছে জেলেরা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষার জন্য শরীয়তপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দিন রাত চলছে প্রশাসনের সাড়াশী অভিযান। সরকারি কঠোর ব্যবস্থার মধ্যেও জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরছে মাছ। সুযোগ পেলেই তারা কোষ্ট গার্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে নেমে পরছে নদীতে, শিকার করছে ডিমওয়ালা মা ইলিশ। ৫দিনে জব্দ হয়েছে বিপুল পরিমানের জাল, ৩০ জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।

গত ৫ অক্টেবর থেকে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময়ে সারা দেশে এই ১১ দিন মা ইলিশ ধরা, বিপনন, সরবরাহ ও মজুদ করা সরকার আইন করে নিষিদ্ধ করেছে। শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলার পদ্মা ও মেঘনা নদীর ২৫ কিমি এলাকা জুড়ে মা ইলিশের প্রজননের জন্য অভয়ারন্য ঘোষনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর থেকে গোসাইরহাট উপজেলার জালালপুর পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিমি এলাকা জুড়ে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে রয়েছে ইলিশের বিচরণ। চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে ১১ দিন মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগ, কোষ্ট গার্ড ও পুলিশের অভিযান সহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা রাত দিন নদী থেকে নদীতে অভিযান চলালেও জেলে সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ মাছ ধরতে নামছে নদীতে। প্রশাসন আইন অমান্যকারী জেলেদের শাস্তিও প্রদান করছে চোখে পরার মত। গত ৬ দিনে অন্তত আড়াই লক্ষ মিটার জাল জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৫০ জনেরও বেশী জেলেকে আটক করে তাদের মধ্যে ৩০ জনকে এক বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। পুলিশ ও কোষ্ট গার্ড আটক করেছে কমপক্ষে ১৫টি নৌকা।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছুরিরচরের জেলে জামাল বেপারী ক্ষোভের সাথে বলেন, যে সকল জেলে আইন মান্য করে নদীতে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছি আমরা এখন অসহায় আমাদের দেখার কেউ নেই। কোন কাজ নাই অভিযানের এই ১১ দিন কি দিয়ে সংসার চালাব। ইলিশের এই প্রজনন মৌসুমে সরকার আমাদের সহায়তা না করলে না খেয়ে মরতে হবে ।

অপর দিকে গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুরের জেলে আব্দুল হালিম বলেন, এ সময় ইলিশ ধরা বে আইনী আমরা জানি। তার পরেও পেটের তাড়নায় মাছ দরতে নদীতে নামি। বাপ-দাদার আমল থেকে মাছ মেরে খাই। অন্য কিছু শিখি নাই। তাই বাধ্য হয়ে আইন ভঙ্গ করছি।

শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাজী ইকবাল আজম বলেন, রাত দিন আমরা কোষ্ট গার্ড, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নদীতে টহল দিচ্ছি। এ পর্যন্ত বিপুল পরিমানের জাল আটক করে তা পুড়িয়েফেলা হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের সাজাও দেয়া হচ্ছে। আমরা অভিযানের শেষ সময় পর্যন্ত নদীতে টহল দিয়ে যাব।

(কেএনই/এটিআর/অক্টোবর ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test