E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শ্যামনগরে ঘের কর্মচারির মৃত্যু, আটক-৪

২০১৪ অক্টোবর ০৯ ১৭:০২:১২
শ্যামনগরে ঘের কর্মচারির মৃত্যু, আটক-৪

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বিরোধপূর্ণ চিংড়ি ঘেরের বেড়িবাঁধ কাটতে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষরা এক ঘের কর্মচারিকে গুলি করে হত্যা করেছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পারশেমারি গ্রামের বিসমিল্লাহ চিংড়ি ঘেরে  এ ঘটনা ঘটে। জনতা হামলাকারি সন্দেহে চারজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

নিহতের নাম আরিজুল ইসলাম (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ১০নং সোরা গ্রামের খলিল মোড়লের ছেলে।
আটককৃতরা হলো, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের শাহাদাৎ মালীর ছেলে এবাদাত হোসেন (৩৫), একই ইউনিয়নের গাগড়ামারি গ্রামের আসাদুল আল গালিবের ছেলে নূরুন্নবী (৪০), লক্ষীখালি গ্রামের মন্তেজ আলীর ছেলে শহীদ হোসেন (৪২) ও খলিষাবুনিয়া গ্রামের রুস্তুম বিশ্বাসের ছেলে রাসেদ বিশ্বাস (৫০)।

স্থানীয় গ্রামবাসি জানায়, গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য লক্ষীখালি গ্রামের আব্দুল মজিদ ২০১০ সাল থেকে মালিকপক্ষদের কাছ থেকে ৩৫০ বিঘা জমি লীজ নিয়ে পারশেমারি এলাকায় চিংড়ি ঘের করে আসছিল। কিছুদিন পর আব্দুল মজিদ জেলা প্রশাসকের ভূমি শাখার ভলিউম জালিয়াতির মাধ্যমে ওই জমির একাংশ নিজের নামে করে নিয়ে মালিকদের লীজের টাকা বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে আদালতে সাতটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কয়েকজন জমির মালিক ওই জমি ২০১২ সালে গাগড়ামারি গ্রামের আসাদুল্লাহ আল গালিবসহ কয়েকজনের নামে লীজ দেয়। ঘের দখলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে গালিব মজিদ মেম্বরের লোকজনের হাতে নিহত হন। পরে হত্যা মামলার আসামীরা পরিকল্পিতভাবে ২০১৩ সালের শেষের দিকে গালিবের পক্ষে অবস্থান নেওয়া ১৩জন ঘের কর্মীকে কোস্টগার্ড দিয়ে বনদস্যু হিসেবে ধরিয়ে দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এমতবস্থায় জমির মালিকদের একাংশের কাছ থেকে গাগড়ামারি গ্রামের হাবিবুল্লা বাসার ও খোকনের কাছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নতুন করে ইজারা দেয়। ঘেরের এক পাশে মজিদ মেম্বর ও অপর পাশে হাবিবুল্লাহ বাসার চিংড়ি ঘের পরিচালনা করে আসছিল।

তারা আরো জানান, বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টার দিকে হাববুল্লাহ বাসার ও খোকনের লোকজন মজিদ মেম্বরের ৪০ বিঘা চিংড়ি ঘেরের বাঁধ কেটে তাদের ঘেরের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মজিদ মেম্বরের লোকজন তাদেরকে বাধা দেয়। এ সময় হাবিবুল্লাহ বাসারের লোকজনের গুলিতে মারাত্মক জখম হন মজিদ মেম্বরের ঘের কর্মচারি আরিজুল ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় বুড়িগোয়ালিনি খেয়াঘাটে তার মৃত্যু হয়। আরিজুল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা চারজনকে আটক করে বুড়িগোয়ালিনি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবুল কাশেমের কাছে সোপর্দ করে।

শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক জাভিদ হাসান জানান, গ্রামবাসির হামলায় জখম চারজনকে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত আরিজুল ইসলামের লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।

(আরকেেএটিআর/অক্টোবর ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test