E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যুবলীগ নেতা ইয়াকুব আলী হত্যাকাণ্ডের ৪৭ বছর

২০২২ আগস্ট ৩১ ১৭:৩৬:৫৩
যুবলীগ নেতা ইয়াকুব আলী হত্যাকাণ্ডের ৪৭ বছর

ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারী জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ৩০ আগস্ট হত্যাকান্ডের ৪৭তম বার্ষিকীতে বুধবার শহরের স্বাধীনতা অম্লান চত্বরে সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তিন ঘন্টাব্যাপী তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জেলা যুবলীগের আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলা আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সুধীর রায়ের সভাপতিত্বে প্রখ্যাত শ্রমিক ও যুবনেতা ইয়াকুব আলীর হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন নীলফামারী ২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা (সাবেক উপসচিব) আমিনুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভূষণ রায়, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুজার রহমান, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি দেওয়ান সেলিম আহমেদ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক নিকসু ভিপি কামরুজ্জামান কামরুল, সাধারণ সম্পাদক দীপক চক্রবর্তী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফি সবুজ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রনবানন্দ রায় রাখাল, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।

৭৫ এর ৩০ আগস্ট নীলফামারীতে মর্মান্বিত হত্যাকান্ডে নিহত শ্রমিক ও যুবনেতা ইয়াকুব আলীর স্মৃতিচারণ করে নীলফামারী ২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আগস্ট আমাদের জন্য কষ্টের মাস, বেদনার মাস। এক ধ্বংসস্তুপ থেকে দেশকে তুলে এনে নিপুণ কর্মযজ্ঞে লিপ্ত ছিলেন জাতির জনক। পাকিস্থানের সাথে যুদ্ধ করে আমরা যে ভাবধারা পরিত্যাগ করেছি, পরাজিত শক্তি সেই ভাবধারাই ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল। সেই চক্রান্তের সূত্র ধরেই ৭৫ এর ১৫ আগস্টের সূচনা, এরই সূত্র ধরে ১৭ আগস্ট আর ২১ আগস্টের সূচনা। এই সূত্র ধরেই ৭৫ এর ৩০ আগস্ট নীলফামারীতে ইয়াকুব আলী হত্যাকান্ডের শিকার হন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ৭৫ এর ৩০ আগস্ট ইয়াকুব আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীরা স্বাধীনতা মেনে নিতে চায়নি। এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীতে ইয়াকুব আলী হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তিনি সরকার ও প্রশাসনের কাছে ইয়াকুব আলী হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন।

নীলফামারী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের আফসোস হয়, দুঃখ হয় স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও যদি মানবতারবিরোধীদের বিচার হয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়, যে রাজনৈতিক শুন্যতা সৃষ্টির জন্য জাসদের গণবাহিনী প্রখ্যাত যুব ও শ্রমিক নেতা ইয়াকুব আলীকে গুলি করে হত্যা করে, এর বিচার না হয়, তবে এই দুঃখ আমরা রাখবো কোথায়।

(ওআরকে/এএস/আগস্ট ৩১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test