E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুয়াকাটায় হোটেল ব্যবসা চলে সিন্ডিকেটে!

২০২২ আগস্ট ৩১ ১৭:৫১:৩৯
কুয়াকাটায় হোটেল ব্যবসা চলে সিন্ডিকেটে!

ফয়জুল মুনীর, পটুয়াখালী : সাগরকন্যা কুয়াকাটায় ভ্রমন-বিনোদন আর নেই! স্থানীয় ও দূর হতে বিনিয়োগকারীরা সেবাকে শুধু ব্যবসায় পরিনত করেছেন, কারো সাধ্যের ধার ধারেনা।

ভ্রমন পিপাসুরা যান্ত্রিক-কোলাহল থেকে একটু বিনোদন-প্রশান্তির জন্য কুয়াকাটায় গেলে প্রথমেই আবাসন সমস্যায় ভোগেন।বিশেষকরে বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার সকল হোটেল-কটেজ ও ডাকবাংলার একটাই স্লোগান, রুম নাই। আবাসন হোটেলের একটি ডাবোল ও একটি সিঙ্গেল বেডের রুম ভাড়া ৪/৫ হাজার টাকা, এর থেকে উন্নত মানের যেমন সিকদার কটেজ রুম ভাড়া ৮/১০ হাজার টাকা এবং ভ্যালি ১৭/১৮ হাজার টাকা।

আপনি কোনমতে রুমের ব্যবস্থা করে খাওয়ার হোটেলে যাবেন সেখানে ঢুকতেই সামনে দেখবেন খাওয়ার আইটেম সাজানো, আপনি পোমা মাছের দাম জানতে চাইবেন তারা বলবেন একপিচ পোমামাছ-শুটকিভর্তা-সব্জিভর্তা-ডাল-ভাত ২০০, রূপচাদা ৫০০, তুলারডাঢি ২৫০, বড়টেংরা ২০০,মুরগী ২৫০ সহজে গরু-খাসীরমাংস পাবেন না, এভাবেই সকল খাদ্য আইটেম প্যাকেজ করে বিক্রি করতেছেন। কিছুকিছু আবাসিক হোটেলে অর্ডারে নিজস্ব খাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সেখানে ৪/৫ জনের খাওয়া বাবদ ৪/৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।

এ প্রতিবেদক ১০ আগস্ট জোয়ার-ভাটা হোটেলে গিয়ে দেখেছেন, নিম্নমধ্যবিত্ত স্বামী-স্ত্রী-সন্তান রাতের খাবারের জন্য আসলে প্যাকেজের কারণে না খেয়ে চলে যায়। ঐ পরিবারকে কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা রাতে চা-রুটি খাওয়ার কথা বলেছেন,আমি ম্যানেজারকে মাছ কেটে দুইভাগ করে খাওয়াবার প্রস্তাব করলে হোটেল কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। এ বিষয়ে কুয়াকাটা হোটেল-মালিক সাধারণ সম্পাদক কলিম মাহামুদ এর সাথে আলোচনা করলে তিনি সাধারণ মানুষের জন্য ৮০ টাকায় ভাজি-ভর্তা-ডাল দিয়ে খাওয়ার একটা প্যাকেজ করার প্রতিশ্রুতি করেছেন।

এ বিষয়ে ভোক্তাঅধিকার ম্যাজিস্টেট এর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি ৭/৮ দিন পূর্বে অভিযান করে ৭০/৮০ হাজার টাকা জরিমানা এবং কিছুকিছু নির্দেশনা প্রদান করলে হোটেল কর্তৃপক্ষ হোটেল সেবা বন্ধ রাখেন।

২৭ আগস্ট মায়ের দোয়া বিরানী হাউজের মালিক রুমি শরীফের কাছে কমদামে খাদ্য বিক্রয়ে প্রস্তাব করলে তিনি বলেন, “নির্ধারিত নিয়মে খাদ্য বিক্রি করলে কোন পর্যটকই খাদ্য খেতে পারবেনা, তিনি বলেন প্রতিদিন হোটেল পরিচালনার জন্য বাজার-লেবার-অন্যান্য সহ ৭০/৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়, হিসাব মতে একলক্ষ টাকা বিক্রি হওযা উচিৎ কিন্তু তা হয়ন । প্যাকেজের কারণ জানতে চাইতে চাইলে অন্যান্য হোটেল ব্যবসায়ী সকলেই দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতিকে দায়ী করেছেন।

(এফএম/এএস/আগস্ট ৩১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test