E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘোড়াঘাটের সাবেক ইউএনওকে হত্যা চেষ্টার রায় ৪ অক্টোবর 

২০২২ অক্টোবর ০২ ১৮:৫৪:৩০
ঘোড়াঘাটের সাবেক ইউএনওকে হত্যা চেষ্টার রায় ৪ অক্টোবর 

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দেশের চাঞ্চল্যকর ঘটবা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যা প্রচেষ্টা  মামলার রায় হতে যাচ্ছে আগামী ৪ অক্টোবর। 

সরকারী ডাক বাংলোয় ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হুত্যার প্রচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্ত। এ ঘটনা সেময় টক অব দ্যা কান্ট্রিতে রূপ নেয়। আর এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় হতে যাচ্ছে, আগামী ৪ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার।

এ তথ্য নিশ্চিত করে দিনাজপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। বিচারক আগামী ৪ অক্টোবর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

প্রসঙ্গত: ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে সরকারি ডাক বাংলোতে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্ত তাদের হত্যার প্রচেষ্টা চালায়। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল আটটায় তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অবস্থার অবনতি হলে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকার জাতীয় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে হস্থান্তর করে। এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।

ওই মামলায় পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে আটক করেন। এনিয়ে চলে বেশ নাটকীয় ঘটনা।

১১ সেপ্টেম্বর রাতে বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনওর বাসভবনের চাকুরিচ্যুত কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়।

এরপর ২০ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-৭-এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের কাছে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন রবিউল। পরদিন দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে ্অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে প্রথম থেকে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত করা হয়েছে। পরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। সেখানেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

এ মামলায় ৫৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য নেয়া হয়। এক মাত্র আসামি রবিউল হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। তার উপস্থিতিতেই আদালতে বিচারকার্য্য পরিচালনা করা হয়েছে।

তবে, অভিযুক্ত রবিউল অভিযোগ, পুলিশ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়ে হয়রানী করছে। এ ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্তা নেই।

(এস/এসপি/অক্টোবর ০২, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test