E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লোহাগড়ায় জমির দখল নিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ২

২০১৪ এপ্রিল ২৮ ১৫:১০:৪৪
লোহাগড়ায় জমির দখল নিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ২

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামে জমির দখল নিয়ে কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় দু’জন মহিলা আহত হয়েছে। জমি দখলের সময় ওই উপজেলা চেয়ারম্যান ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আহতদেরকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউপি’র বড়দিয়া মৌজায় মঙ্গলপুর গ্রামের জহুরুল হক খান ৪ একর ৬৮ শতক জমি ১৯৬৪ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছিল। গত ২৩ এপ্রিল লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি পেন্টু খান উক্ত জমি ইজারা (লিজ) নেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নিকট আবেদন করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার বিকালে কোটাকোল ইউপি’র সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) বিশ্বজিৎ দাস সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থল মঙ্গলপুর গ্রামে যান। এ সময় বহুল আলোচিত কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমান ওসি খান ও তার আপন বড় ভাই পেন্টু খানের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন বিবাদমান জমি দখল করার জন্য দেশীয় অস্ত্র লাঠি, রাম দা, হকিস্টিক, লোহার রড, সাবল, সড়কি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় সশস্ত্র লোকজন প্রায় ১৮ শতক জমির পাঁকা ধান কেটে নিয়ে যায়। এরপর সন্ত্রাসীরা পুকুর থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়।

এ সময় হালিমা বেগম বাঁধা দিলে কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমান ওসি খান হালিমা বেগম (৫৮)কে চুল ধরে টেনে-হিচড়ে মাটিতে ফেলে জুতা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। শুধু তাই নয়, ওই উপজেলা চেয়ারম্যান হালিমার শরীরের ওপর উঠে পাড়াতে থাকে। পুত্র বধূ জোছনা বেগম শাশুড়ি হালিমা বেগমকে ঠেকাতে আসলে তাকেও সন্ত্রাসীরা চড়-থাপ্পড় মেরে তার পরনের ওড়না ছিনিয়ে নেয়। এ সময় কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমান ওসি খা তার লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

কোটাকোল ইউপি’র সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মতিন খানের জমি লিজ সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি রবিবার তদন্তের জন্য মঙ্গলপুর যান। সে সময় কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমান ওসি ও পেন্টু খান ছাড়াও প্রায় শতাধিক লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে সেখানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে বলে তিনি জানান। এলাকাবাসী আহত হালিমা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া হাসপাতালে এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুবাশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমান ওসি বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পেন্টু খান উত্তেজিত হয়ে কোন বক্তব্য না করে ফোন রেখে দেন। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুবাশ বিশ্বাস বলেন, গুলি বর্ষণের ঘটনায় কোন স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি এবং এ ঘটনায় নবিউল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা (এজাহার) দাখিল করেছে।


(আরএম/এটি/এপ্রিল ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test