E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুই বছরেও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ!

জনদুর্ভোগের অপর নাম পাংশা-মৃগী-বালিয়াকান্দি সড়ক

২০২২ অক্টোবর ২২ ১৭:০২:০১
জনদুর্ভোগের অপর নাম পাংশা-মৃগী-বালিয়াকান্দি সড়ক

একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা হেড কুয়ার্টার-মৃগী-বালিয়াকান্দি জিসি সড়কের কাজ দুই বছর আগে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি সড়কটির সংস্কারে কাজ । ইটের খোয়া দেওয়ার পর পিচ না দিয়ে কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। দীর্ঘদিন এভাবে রাস্তা পড়ে থাকায় বড় বড় খোয়া উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তা ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে কয়েক জায়গায়। খোয়া ভেঙে ধুলোয় পরিনত হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তার দুইধার।

পাংশা হেড কুয়ার্টার-বালিয়াকান্দি ভায়া মৃগী সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার। পূর্বের পিচ নষ্ট হওয়ায় পুননির্মানের জন্য রাস্তাটি পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার সিমানা অনুযায়ী তিন ভাগে বিভক্ত করে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বার কার্যাদেশ জারি করেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী। ওই সালের ৩০ সেপ্টেম্বার কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নাটোরের উত্তর বড়গাছা এলাকার মীর হাবিবুল আলম এন্টারপ্রাইস।কাজটি চলতি ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা ছিল।

পাংশা উপজেলা অংশের প্রায় ১১ কিলোমিটার কাজের মূল্য নির্ধারন করা হয় ১১ কোটি ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭১ টাকা।কাজটি শুরু হয়ে ইটের খোয়া দেওয়ার পর পিচ না দিয়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় যাত্রী ,যানবাহন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্তের।প্রতি নিয়ত দূর্ঘটার কবলে পড়ছে যাবাহন।

এমন চিত্র বালিয়াকান্দী উপজেলার প্রায় ১৪ কিলোমিটার শুরু হওয়া সড়ক উন্নয়ন কাজের কিছু কিছু অংশে।কালুখালী উপজেলার পর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং ,প্যালাসাইডিং ,মাটির কাজ ও ঘাস লাগানোর কাজ বাকি থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে চলাচল কারী ও যানবাহন। এখানেই শেষ নয়, ১৪ কিলোমিটার রাস্তার কাজের বেশির ভাগ অংশে কার্পেটিং এর কাজ শেষ করেছে রাজবাড়ির ঠিকাদার র্পতিষ্ঠান মোস্তাফা এন্টারর্পাইস। তবে কার্পেটিং এর মান নিয়ে স্থানীয়দের বার বার বিরুপ প্রতিক্রিয়া ছিল। যার ফলে একাধিক বার ঐ সকল স্থানে কার্পেটিং করেও তুলে ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে মাটির সঠিক কাজ না হওয়ায় ছোট ছোট গের্তের সৃষ্ঠি হয়েছে।যে কোন সময় ছোট রড় যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে।

কালুখালী উপজেলা অংশের কার্পেটিং এর কাজ শেষ হলেও মান নিয়ে মান নিয়ে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা। নিম্নমানের কার্পেটিং করায় বিভিন্ন স্থানে এখনি উঠে যাওয়ার উপক্রম। মাটির সঠিক কাজ না হওয়ায় ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এখনি।

থ্রি হুইলার চালক সাহেব আলী বলেন, আমি এই রাস্তায় গাড়ি চালাই। বড়বড় খোয়া উঠায় চলাচল করা যাচ্ছে না। গাড়ির টায়ার ও বডি নষ্ট হচ্ছে। প্রায়ই গাড়ি গ্যারেজে নিতে হচ্ছে। যা আয় হয় গাড়ির পিছনে খরচ করে বাড়ি নেওয়া যায় না। কারো নজর এদিকে নেই।

বাগদুরি গ্রামের আলম শেখ বলেন, রাস্তা কয়েক জায়গায় ভেঙে গেছে। ট্রাক চলাচল করলে ইটের ধুলোয় আশপাশের বাড়ি ভরে যাচ্ছে। রাস্তার পাশের বাড়ির মানুষ খুব কষ্টে আছেন। ইটের ধুলো থেকে বাঁচতে দিনে দুইবার রাস্তায় পানি দিতে হচ্ছে। তাতেও রক্ষা হচ্ছে না।

রাজবাড়ী জেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আপনি কি করে জানলেন কাজের মেয়াদ শেষ হইছে। পরে কাজে শুরু ও শেষের তারিখ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফাইল না দেখে বলা যাবে না।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম এন্টারপ্রাইসের সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয় নাই।

(একেএমজি/এসপি/অক্টোবর ২২, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test