E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লোহাগড়ায় গাইনী ডাক্তারের বিরুদ্ধে রোগী হয়রানীর অভিযোগ

২০১৪ অক্টোবর ১৩ ১৮:৪৬:০৮
লোহাগড়ায় গাইনী ডাক্তারের বিরুদ্ধে রোগী হয়রানীর অভিযোগ

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : লোহাগড়া সরকারি হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার মায়া রানী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনিয়ম করে রোগী হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে, এলাকার মহিলা রোগিদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অথচ, অভিযুক্ত ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রবিবার সকালে দীর্ঘ ১ ঘন্টা লাইনে থেকে ডাক্তারের কাছে যাবার সুযোগ পেলেন উপজেলার পাঁচুড়িয়া গ্রামের গোলাম রসুলের স্ত্রী শেফালী বেগম (২৫)। লোহাগড়া সরকারি হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার মায়া রানী বিশ্বাস একগাদা টেষ্ট করার নির্দেশ দিয়ে তার পছন্দের লক্ষীপাশা হাসপাতাল গেট সংলগ্ন ‘দ্বীপ ডায়গনষ্টিক সেন্টারে’ পাঠালেন। ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী টেষ্ট গুলো করাতে ৯শ ৫০টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু দরিদ্র শেফালী বেগমের পক্ষে ৯শ ৫০ টাকা দিয়ে দ্বীপ ডায়গনষ্টিক সেন্টারে টেষ্ট না করিয়ে হাসপাতালের ল্যাব থেকে মাত্র ৩শ ১০টাকা দিয়ে টেষ্ট গুলো করান।

ভুক্তভোগী শেফালী বেগম অভিযোগ করে বলেন, ওই টেষ্টের রিপোর্ট নিয়ে ডা মায়া রানীর কাছে পুনরায় গেলে তিনি আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ষ্টেট গুলো সঠিক হয়নি বলে জানান। তাছাড়া, হাতে সময় না থাকায় তার প্রাইভেট চেম্বারে যেতে বলেন। শেষে কোন উপায়ান্ত না দেখে শেফালী ওই ডাক্তারের চেম্বারে ৩শ টাকা ফিস দিয়ে টেষ্ট গুলো দেখান । সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতালের টিকিটে প্রায়ই ডা. মায়া রানী বিশ্বাস বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নাম লিখে দেন। এতে করে, রোগীরা মারাত্মক বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া, তার চেম্বার সহকারি অজুফা বেগম অফিস চলাকালীন সময়ে হাসপাতালে ডাক্তারের রুমে থাকে এবং ডাক্তারের নির্দেশে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার কথা বলে অজুফার সাথে তার প্রাইভেট চেম্বারে পাঠিয়ে দেন।

ডাক্তার মায়া রানী বিশ্বাসের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে লক্ষীপাশা গ্রামের আতিয়ার রহমানের মেয়ে সালমা বেগম মানবেতর ভাবে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ডাক্তার মায়া রানীর সাথে সোমবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘অনেকেই এ রকম করে। তবে আমি রিপোর্টের বিষয়ে কোন কিছু বলিনি’। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

(আরকে/এএস/অক্টোবর ১৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test