E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কার্যকরী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সভা বুধবার 

২৭ নভেম্বর নবীনগরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা! 

২০২২ নভেম্বর ১৫ ১৮:১৫:১৯
২৭ নভেম্বর নবীনগরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা! 

গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আগামি ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে সফল করতে ১৬ নভেম্বর বুধবার দলটির কার্যকরী পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা ডাকা হয়েছে। তবে জেলা নেতৃবৃন্দের দেয়া চূড়ান্ত নির্দেশে আগামি ২৭ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন করা যাবে কিনা, সেটি নিয়ে অনেকটা 'অনিশ্চয়তা' প্রকাশ করেছেন দলটির নবীনগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে দৈনিক বাংলা ৭১ এর সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি (হালিম) সম্মেলনের চূড়ান্ত তারিখ (২৭ নভেম্বর) নিয়ে এ অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেন।

এম এ হালিম বলেন, 'সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করবে তাঁরা, যাঁরা মূলত সম্মেলনটা আয়োজন করবে। সেজন্যই আগামিকাল ১৬ নভেম্বর বুধবার নবীনগরে দলটির কার্যকরী পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা ডেকেছি। সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে আমরা সম্মেলনটি সফল করতে চাই। তবে ২৭ তারিখই সম্মেলন করতে হবে, বিষয়টি তেমন না। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সেটি ২৭ তারিখের দুদিন আগেও হতে পারে আবার দুদিন পরেও সম্মেলন হতে পারে।'

তিনি বিষয়টি আরও খোলসা করে এ প্রতিবেদককে বলেন, 'মূলত সম্মেলনটি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ও সফলভাবে আমরা সম্পন্ন করতে চাই। সেজন্য সম্মেলনে কেন্দ্র থেকে অতিথি কারা আসবেন, মূলত তাঁদের আসাটাকে সুনিশ্চিত করে তাঁদের দেয়া তারিখের উপরই সম্মেলনের চূড়ান্ত তারিখটি কালকের সভা থেকে চূড়ান্ত করা হবে। তবে অবশ্যই সেটি জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা সম্মেলনের তারিখটি কাল চূড়ান্ত করবো।'

গত ৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগামি ২৭ নভেম্বর নবীনগরে আওয়ামীলীগের সম্মেলন করার যে চূড়ান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে আপনি কি বলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এম এ হালিম বলেন, 'আসলে ২৭ তারিখের চূড়ান্ত তারিখটা আমাদের নবীনগর শাখার সভাপতি সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল এবং সেক্রেটারী হিসেবে আমিও সেভাবে বিষয়টি জানিনা। তবে জেলা থেকে যে চিঠিটি ইস্যু করা হয়েছে, পাঠানো সেই চিঠিটি আমি দেখেছি। সেজন্যই বলেছি, সম্মেলনের সব কিছুই আমরা জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগ করেই সবকিছু করবো। তবে চূড়ান্ত তারিখটি সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি সুনিশ্চিত না করে করা যাবে না। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করে তাঁদের দেয়া তারিখ অনুযায়িই সম্মেলনের তারিখটি আমরা ঘোষণা করবো। সেক্ষেত্রে দুদিন আগে পিছে হতেই পারে। আগামিকাল বুধবার আমাদের কার্যকরী সভার মিটিংযে মাননীয় স্থানীয় সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল ভাইয়ের উপস্থিতিতে দলের ওয়ার্কিং কমিটির সকলের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।’

জানা গেছে, এর আগে গত ৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় এক সাংগঠনিক সম্পাদকের নির্দেশে আগামি ২৭ নভেম্বর নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন করার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেন।

আল মামুন সরকার সেসময় এ প্রতিবেদককে বলেছিলেন, 'কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একমাত্র নবীনগর উপজেলা ছাড়া জেলার সবকটি উপজেলার সম্মলন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সমাপ্ত হয়েছে। কিন্তু নবীনগরের নেতৃবৃন্দ একাধিকবার তারিখ নির্ধারণ করেও নানা জটিলতার কারণে নির্ধারিত তারিখে তারা সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই আগামি ২৭ নভেম্বর নবীনগরে সম্মেলন করার জন্য আমরা উপজেলা নেতৃবৃন্দকে এই চূড়ান্ত চিঠি ইস্যু করেছি।'

প্রসংগত, উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে সম্মেলন করার লক্ষে চলতি বছরের শুরুর দিকে দলটির পক্ষ থেকে একটি সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু গঠিত সেই বাস্তবায়ন কমিটিকে "বিতর্কিত" আখ্যায়িত করে দলটিরই একাংশ এর বিরোধীতা করে আন্দোলনে নামে। পরে আন্দোলনের মুখে কমিটি পুনর্গঠনও করা হয়। কিন্তু এরপরও নানা জটিলতায় গত ২১ মে, ১৬ জুলাই ও সর্বশেষ ২৯ অক্টোবর নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেও শেষ পর্যন্ত নবীনগরে আওয়ামীলীগের সম্মেলন এখন পর্যন্ত করতে পারেনি দলটি। ইতিমধ্যে গত ১২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনও অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

(জিডি/এসপি/নভেম্বর ১৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test