E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

র‌্যাবের বিরুদ্ধে লিমন হত্যাচেষ্টার মামলা

পিবিআইর ফাইনাল রিপোর্টের বিরুদ্ধে মায়ের নারাজি

২০২২ ডিসেম্বর ০৬ ১৫:৪৪:২১
পিবিআইর ফাইনাল রিপোর্টের বিরুদ্ধে মায়ের নারাজি

মাহাবুবুর রহমান, ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে ছয় র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্র লিমন হত্যাচেষ্টার মামলায় পিবিআই’র চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দাখিল করেছেন তার মা হোনোয়রা বেগম। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নারাজি দাখিল করা হয়। আদালতের বিচারক এ.এইচ.এম ইমরুনুর রহমান শুনানির জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য্য করেন বলে জানিয়েছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রে নিয়োজিত লিমনের মায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার। 

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় তৎকালীন কলেজ ছাত্র লিমন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে লিমনের বাম পা হাটু থেকে কেটে ফেলেন পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় লিমনের মা বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল তৎকালীন সময়ে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর ডিএডি লুৎফর রহমানসহ ছয় র‌্যাব সদস্যের নামে ঝালকাঠির আদালতে একটি হত্যা চেস্টা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রাজাপুর থানার এসআই আব্দুল হালিম তালুকদার তদন্ত করেন ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে র‌্যাব সদস্যদের অব্যহতির সুপারিশ করেন। লিমনের মা হোনোয়রা বেগম ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩০ আগস্ট ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নারাজি দাখিল করেন। আদালত ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর নারাজি আবেদন খারিজ করে দেন। নারাজী খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ রিভিশন দায়ের করেন হেনোয়রা বেগম (রিভিশন নং ৩৫/১৩)। ২০১৮ সালের ০১ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস.কে এম তোফায়েল হাসান রিভিশন মঞ্জুর করেন। রিভিশন মঞ্জুর হওয়ার পর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সেলিম রেজা মামলাটি তদন্তের জন্য ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পিবিআই প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সত্য, তবে কারা তাকে গুলি করেছে তার কোন স্বাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে প্রমান পাওয়া গেলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এ কারণে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম আদালতে সোমবার নারাজি দাখিল করেন।

২০১১ সালে ঘটনার পর লিমনকে সন্ত্রাসী দাবি করে র‌্যাব লিমনসহ আট জনের বিরুদ্ধে অস্ত্রআইনে এবং সরকারি কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিল। সেই দুটি মামলাতেই লিমনসহ সকল আসামীরা আদালত থেকে ২০১৮ সালে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছিল। ঘটনার শুরু থেকে লিমনকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

(এম/এসপি/ডিসেম্বর ০৬, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test