E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস পালিত 

‘বঙ্গবন্ধু আমাদের সঙ্গে আছেন, আমাদের মধ্যে আছেন’

২০২২ ডিসেম্বর ১৩ ১৮:৩২:৩৫
‘বঙ্গবন্ধু আমাদের সঙ্গে আছেন, আমাদের মধ্যে আছেন’

ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : স্বাধীনতা স্বপক্ষের সকল শ্রেণির মানুষের ঐক্যের এক অভূতপূর্ব নিদর্শন হয়ে থাকলো এবারের হানাদার মুক্ত দিবসটি। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে আজ দুপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে নীলফামারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। কর্মসূচির শুরুতে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। এরপর রঙ বেরঙ্গের বেলুন উড়িয়ে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। 

এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের সামনে অবস্থিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভূষণ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক প্রমুখ।

এরপর নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। এই শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা ছাড়াও স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। নীলফামারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস আসাদুজ্জামান নূর।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের জেলা আহবায়ক হাফিজুর রশীদ প্রামাণিক মঞ্জুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভূষণ রায়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর বাঙ্গালী জাতি রাষ্ট্রের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁর সারা জীবনের সংগ্রাম দিয়ে একটা সঠিক পথে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন, নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, বঙ্গবন্ধু সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না, এটা আমরা কেউ কখনো বোধ করিনি। আমাদের সব সময় এটা উপলব্ধি হয়েছে, তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি আমাদের মধ্যে আছেন, আমাদের সব সময় নির্দেশ দিচ্ছেন। সেই সাহস নিয়েই প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছে।

সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শহিদুল ইসলাম বলেন, যারা আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে তারা নব্য রাজাকার। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে প্রয়োজনে জীবন দেবো। আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক বলেন, যাঁরা পিতা মুজিবের আদর্শে বিশ্বাস করে, যাঁরা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে, যাঁরা পিতা মুজিবের আঙ্গুল হেলনিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল - তাঁরা কখনো মুজিব আদর্শের বাইরে রাজনীতি করতে পারে না। একজন জামায়াত, একজন বিএনপি, একজন জাতীয় পার্টি, একজন এবি পার্টির নেতা কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধা তাঁরাই, যাঁরা আজকের প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, যিনি আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যিনি বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জীবন বাজি রেখেছেন, সেই নেত্রীর বিরুদ্ধে যারা রাজনীতি করবেন, কথা বলবেন- তারা কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন উপহার প্রদান করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

(ওকে/এসপি/ডিসেম্বর ১৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test