E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝিনাইদহে ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি

২০২৩ জানুয়ারি ০৯ ১৬:৫৬:২২
ঝিনাইদহে ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : কঠোর আইন আছে কৃষি জমির মাটি কাটা যাবে না। পুকুর খননের মাটি পুকুর পাড়ে রাখতে হবে। এলজিইডির গ্রামীন সড়কের ক্ষতি হয় সে জন্য মাটি নিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। আইন ভঙ্গ করলে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও জেলের বিধান রয়েছে। কিন্ত এ সব আইন আর বিধি নিষেধ কেবল কাগজে, বাস্তবে নেই। ঝিনাইদহ জেলায় শীত মৌসুম আসলে মাটি কাটার হিড়িক পড়ে যায়। গ্রামে গ্রামে এখন মাটি বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। কথিত আছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মাটি সিন্ডিকেটের এই মহোৎসব চলছে। কিন্তু প্রতিকার নেই। বরং ধুমছে চলছে মাটি কেনাবেচার রমরমা বানিজ্য। ফলে ৬ উপজেলায় এলজিইডির গ্রামীন রাস্তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পাকা রাস্তায় মাটি পড়ে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে রাস্তা রক্ষার জন্য ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ১৯৫২ সালের বিল্ডিং কনষ্ট্রাকশন এ্যক্টের ৩ ধারা মতে একটি পরিপত্র জারী করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের (উন্নয়ন-২) উপ-সচিব জেসমিন পারভিন। ওই আইনের দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ধারা ৪৩১ মোতাবেক সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন ফৌজদারী দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইনে ৫ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। ফলে সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন হয় এমন কাজ করা যাবে না। অথচ আইন বাস্তবায়নে রহস্যজনক উদাসিন প্রশাসন। 

সরজমিন তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমরাবাড়িয়া ধোপাবিলা গ্রামের জসিম নামে এক ব্যক্তি রাতের আধারে মাটি বিক্রি করছেন। কোন বিধি নিষেধ তিনি মানছেন না। মধুহাটী ইউনিয়নে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেদারছে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার বাথপুকুর গ্রামের গাজী আব্দুল হালিম, একই গ্রামের পিকুল, আলী আকবর মেম্বর, দশমী গ্রামের সাইদ বঙ্গাল, মোহাম্মদজুমা গ্রামের উজ্জল, কোটছাঁদপুর উপজেলায় বলুহর বাসষ্ট্যান্ড পাড়ার আরাফাত, লক্ষিপুরের জিলানী, পাল্লা ফুলবাড়ির সাইদুল, দোড়া পাচলিয়া গ্রামের রাব্বি হাসান, শাহজাহান আলী, নারায়নবাড়িয়ার শরিফুল ইসলাম, তালসারের জাহিদ মেম্বর, বলুহর বারোমেসে ব্রীজের তরিকুল মাটি কেটে বিক্রি করছেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন জানান, কৃষি জমির মাটি ও বালু কাটলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা সরকারিভাবে সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে। এমন চিত্র থাকলে দ্রুতই প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test