E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মান্দায় বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

২০২৩ জানুয়ারি ২৮ ১৮:০০:২১
মান্দায় বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে রেজাউল করিম ও তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর শাহানাপাড়া গ্রামের আছির উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রেজাউল ইসলাম এবং তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ বিভিন্ন সময়ে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতার কার্ড করে দেয়া এবং চাকুরি দেয়ার কথা বলে গ্রামের একাধিক গরীব অসহায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন। অভিযোগকারী উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের হাফেজ উদ্দিনের স্ত্রী বিলকিস বেগম এবং একই গ্রামের ওহির সরদারের ছেলে ঠুনু সরদার।

অভিযোগকারী ঠুনু সরদার বলেন, ‘বয়স্কভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে রেজাউল এবং তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছেন। অথচ এখনো কার্ড করে দেয়নি। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’

বিলকিস বেগম বলেন, ‘রেজাউল ইসলাম এজ্জুল এবং তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ আমার কাছ থেকে কয়েক বছর আগে বয়স্কভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকাসহ এলাকার একাধিক নারীর নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন।’

তারা বলেন, ‘আমাদের ভাতার কার্ড করে দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। তাদের কাছে আমাদের পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারা গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। আর বলে যে, আমার ছেলে সোম্বাদিক। তোদেরকে কোন টাকা দেয়া যাবে না, এতে যদি ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ করা লাগে তাও করতে রাজি আছি। কিন্তু কোন টাকা ফেরত দেয়া যাবে না। এতে তোমাদের যা করার আছে, করো । এলাকায় তাদের দাপটে আমরা খুব অসহায়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই এবং আমাদের পাওনা টাকা ফেরৎ চাই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘হামি গরীব মানুষ। খুব কষ্ট করা ব্যাঁচা আচি। ভাতার কার্ডের জন্য মানষক থ্যাকা সুদের উপর ট্যাকা লিয়্যা পারভেজক দিচি। এ্যাডা লিয়া হামাকে সংসারত একন চরম অশান্তি চলোচে। ওরকক থ্যাকা এ্যাকন ট্যাকা চালেই ওরা দুই বাপ-বেটা হামাকক হুমকি দেয়।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল করিম বলেন ‘আমরা কারো কাছে থেকে কোন টাকা নেইনি। আমাদের বিরুদ্ধে যদি কেউ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।’

এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

(বিএস/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test