E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে ভাগ্যবদলে আত্মনিয়োগ করেছেন বাসিন্দারা 

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৯:০৮:৫০
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে ভাগ্যবদলে আত্মনিয়োগ করেছেন বাসিন্দারা 

একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে পাংশা উপজেলার ছিন্নমূল ভূমিহীন ৫৫০ টি পরিবারের জীবন যাত্রা। আশ্রয়ণ কেন্দ্র গুলোতে রয়েছে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাকা টয়লেট, যাতায়াতের জন্য রাস্তা যা তাদের এক সময় সপ্ন ছিল৷

তারা আগে বিভিন্ন স্থানে অসহায়ত্ব নিয়ে বসবাস করতেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়ে স্থায়ী ঠিকানা পাওয়ায় সরকারি সহায়তার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে নানান কর্ম করে অতীতের দুঃখ কষ্টকে ঝেরে মুছে নতুন উদ্যোমে চলতে শুরু করেছেন তারা।

এক সময় অতিকষ্টে পরিবারের সদস্যদের পেটের ভাত জোগাড় করতে পারলেও ঘুমানোর কষ্ট লাঘব করতে পারেনি আশ্রয়হীন মানুষগুলো। কিন্তু আজ তাদের সেই লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তারা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের গোপালপুর, মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুল, কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণ খোলা ও কুঠিমালিয়াট, সরিষা ইউনিয়নের বৃত্তিডাঙ্গা কারিগরপাড়া পেমটিয়া নাওরা বনগ্রাম ও বহলাডাঙ্গা, পাংশা পৌর এলাকার পান্নানপুর ও সত্যজিতপুর এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থানে প্রদানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে আজ পেটপুরে খেয়ে পাকা বাড়িতে শান্তিতে আছেন। পাশাপাশি হাতের কাজসহ বিভিন্ন সবজি ফলিয়ে এবং হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশু পালন করে সংসারে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন স্বচ্ছলতা।

উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকার ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখন অনেক ভাল আছেন। কারণ, এখানে শুধু তারা বাড়ি উপহার পাননি। পেয়েছেন সবজি চাষ করার জন্য জমি। এছাড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাকা টয়লেট, যা তাদের সপ্ন ছিল, আজ প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে।

আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী মোঃ ওমর আলী জানান, পরিবার নিয়ে আগে রেল স্টেশনের পাশে কোনোরকম বসবাস করতেন। এখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেশ সুখে আছে। এখানে তার স্ত্রী হাঁস মুরগী ও সেলাই মেশিনের কাজ করে কিছু রোজগার করেন।

সত্যজিতপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী আনোয়ারা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের পাশাপাশি যে জায়গাটুকু দিয়েছে, সেখানে তারা সবজি চাষ করে বাড়তি আয় করতে পারেন। এতে তার স্বচ্ছলতা এসেছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প বসবাসকারী আহম্মদ খান বলেন , বর্ষাকালে আমাদের কাঁচারাস্তায় চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হবে। রাস্তাটি পাঁকা করে দিলে আমারা অনেক অসুবিধা থেকে বাঁচবো।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া হাসান আলী বলেন, আগে ভাবতাম সরকারের দেওয়া ঘরে গুরুত্বর সাথে কাজ করে না শ্রমিকেরা। কিন্তু এর ব্যতিক্রম দেখলাম। প্রতিনিয়ত ইউএনও থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিসাররা দেখতে আসেন।যার ফলে অনেক মজবুত হয়েছে। আমরা অনেক খুশি এই ঘর পেয়ে।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী জানান, বাল্যবিবাহ, মাদক ও জঙ্গিবাদ দমনে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের নিয়ে নিয়মিত মতবিনিময় করা হয়। এছাড়া কৃষি ও গবাদিপশু পালনে কাজ করে যাচ্ছে সকল বিভাগ। এছাড়াও তাদের জীবন মানে উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test