E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আদালতের রায়ের পরেও জমিতে যেতে পারছেন না আলাউদ্দীন

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৭:৫০:৪৩
আদালতের রায়ের পরেও জমিতে যেতে পারছেন না আলাউদ্দীন

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামে আদালতের রায়ের পরেও জমি ফিরে পাচ্ছেন না একটি পরিবার। এ নিয়ে ভূমি দখলদারের বিরুদ্ধে একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী ওই পরিবার।

জানা গেছে,মায়ের ওয়ারে সূত্রে ৫৫ নং কুলতলা মৌজার ৩৮৭ খতিয়ানে মোট জমির পরিমাণ ৪ একর ৯২ শতক পান আছিয়া খাতুনরা। ৫২০ নং খতিয়ানে জমির পরিমাণ ৬ একর ৯৯ শতক। ৩৮৬ নং খতিয়ানে জমির পরিমাণ ৯ একর ৬২ শতক। ৩৮৫ নং খতিয়ানে জমির পরিমাণ ২০ শতক। ওয়ারেশ সূত্রে আছিয়া খাতুনেরা ২১ একর ৭৩ শতক জমি হিস্যামতে মালিক হিসাবে গণ্য হয়।

২১ একর ৭৩ শতক জমির মধ্যে হিস্যামতে আছিয়া খাতুন গংদ্বয় ৪ একর ৩৪ শতক জমির মালিক হিসাবে গণ্য হয়। জমির মালিকানা পাওয়ার পর খাজনা খারিজ সম্পন্ন করে জমি ভোগদখলে যাওয়ার পর স্থানীয় হিয়াদ আলীর পুত্র রবিউল হোসেন, মশিয়ার রহমান এই জমির দখলে বাঁধা সৃষ্টি করলে রবিউলের ভাগ্নে ইউনুচ আলী ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করলে ১০-০৮-২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত ইউনুচ আলীদেরকে হিস্যামতে পক্ষে রায় প্রদান করেন।

আদালতের রায়ের পর যেহেতু ইউনুচের বাড়ি শ্যামকুড় ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে হওয়ায় উল্লেখিত মৌজার কুলতলা গ্রামের তার সেজো বোন আছিয়া খাতুন বৈবাহিক সুত্রে স্বামীর বাড়ি থাকায় সকল ওয়ারেশ গং উপস্থিত হয়ে রায়ের প্রাপ্ত জমি তার ভগ্নিপতি আলাউদ্দিনকে সমুদ্বয় জমি বুঝিয়ে দেয়।

পরে ওই জমিতে আলাউদ্দিন ধান চাষ করার পরে বিভিন্ন ভাবে গ্রামের কিছু প্রভাশালী ভূমিদস্যু রবিউল ও তার অনুসারীরা জমি দখলের ও উচ্ছেদের পায়তারা করছেন এবং বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

আলাউদ্দীন জানান, রবিউল একের পর এক মিথ্যা ভাবে আমাদেরকে হয়রানি করে যাচ্ছে। আদালতের রায়ের পরও আমার জমিতে আমি চাষ করতে পারছিনা। আমি এর প্রতিকার চাই।

এ বিষয়ে জানতে রবিউল ইসলামকে একাধিক বার তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test