E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শরীয়তপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪০

২০১৪ অক্টোবর ২২ ১৮:৩৮:১২
শরীয়তপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪০

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানার পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলাধীন তুলাসার ইউনিয়নের দক্ষিণ গোয়ালদি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোড়লের মেয়ের বিয়েতে ও পাশ্ববর্তী সোলায়মান সরদারকে দাওয়াত না দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গ্রাস বাসিদের মধ্যে বুধবার সকালে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের খবর বিভিন্ন এলাকায় ছরিয়ে পরলে তুলাসার ইউনিয়নের অন্তত চারটি স্থানে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এতে উভয় গ্রুপের শামছুদ্দিন ফকির (৫০), আব্দুর রাজ্জাক মোড়ল (৪৫) খোকন ফকির (২৮), আল-আমীন মোড়ল (২৫), জামাল বেপারী (২৭), ছায়েদ সরদার (৩৫), রেজাউল (৩২), রিপন (২২), সাহিদা বেগম (২৫), মীর হোসেন (২৫), জলিল সিকদার (৩৫). আবু কালাম (৩৫), দীন ইসলাম (৩৫), মকফর সরদার (৪০), আল-আমীন ফরিকর (৩০), কাশেম মুন্সী (৬০), রুবেল সরদার (২০), সাইফুল ইসলাম (২২), মোঃ রোকন ফকির (২২), মহসিন সিকদার (২৫), কাশেম মুন্সী (৩০), মিজানুর রহমান ফকির (৪০), খলিল ফকির (৪০), রুবেল সরদার (২৫), মিহির বেপারী(২২), জলিল সরদারসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়।
আহতদের শরীয়তপুর সদর হামপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্য থেকে সাইফুল ইসলাম, মো. রোকন ফকির, মহসিন সিকদার, কাশেম মুন্সী, মিজানুর রহমান ফকির, খলিল ফকির, রুবেল সরদার, মিহির বেপারী, জলিল সরদার, সাইদ সরদার, মজিবুর মৃধা, মকফর সরদার, সোহান সরদার, নুর ফকিরসহ ২০ জনকে পালং মডেল থানার পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটানার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সে কোন সময় আরো অধিক সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।

গ্রামবাসিদের এই সংঘর্ষ এক পর্যায়ে দলীয় মারামারিতে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক আমিন উদ্দিন ফকির ও আওয়ামীলীগ নেতা জাহিদ হোসেন ফকিরের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি। তবে আমিন উদ্দিন ফকিরের পক্ষে সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্তিাকারী মাহবুব মোর্শেদ টিপুর সমর্থকরা সংঘর্ষে অংশগ্রহন করেছে বলে জানিয়েছে এশাধিক সূত্র।
আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিছক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা মাহবুব মোর্শেদ টিপু কৃষকলীগ নেতা আমিন উদ্দিন ফকিরের কাধে ভর করে আমার সমর্থকদের সাথে তার সমর্থকদের দারা মারামারি করিয়েছে। আমি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

কৃষকলীগ নেতা আমিন উদ্দিন ফকির জানান, আওয়ামলীগ সমর্থক রাজ্জাক সরদারের উপর হামলা করার প্রেক্ষিতে সংঘর্ষ হয়েছে। যারা আহত হয়েছে তারা আওয়ামীলীগের লোক।
ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাহবুব মোর্শেদ টিপু বলেন, আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। সেখানে আমার সমর্থিত কেউ হয়েতো আত্মীয়তার টানে কোন গ্রুপের পক্ষে সংঘর্ষে জড়িত হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংঘর্ষে আহত (আল আমিন) বলেন, রাজ্জাক মোড়লের মেয়ের বিয়ে আগামী শুক্রবার। এই বিয়েতে একই গ্রামের সোলায়মান সরদারকে দাওয়াত না দেয়ায় তার লোকজন এই বিয়ে অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্য মারামারি করেছে।

শরীয়তকপুর সদর (পালং) মডেল থানার মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজ্জাক মোড়লের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জাহিদ ফকিরের সমর্থক সোলায়মান সরদার দাওয়াত না দেয়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আমীন উদ্দিন ফকিরের সমর্থক রাজ্জাক মোড়লের ছেলে আল-আমীন মোড়লকে মারধর করাকে সোলাইমান সরদার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটানায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। থানায় কোন পক্ষ এখনো মামলা করেনি। এলাকায় পুলিশ সতার্কাবস্থায় রয়েছে।
(কেএনআই/জেএ/অক্টোবর ২২, ২০১৪)








পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test