E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাদুল্লাপুরে রাস্তা পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের খোয়া ও বিট বালু ব্যবহার

২০২৩ এপ্রিল ১০ ২০:২৮:৪৯
সাদুল্লাপুরে রাস্তা পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের খোয়া ও বিট বালু ব্যবহার

রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার রাস্তা প্রশস্থ ও পাকাকরণে নিন্মমানের রেডিমেট খোয়া এবং মাটি মেশানো বিট বালু ব্যবহার করায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। উক্ত সড়ক পাকাকরণ কাজে ভালো মানের খোয়া ও বালু দিয়ে টেকসই উপযোগী সড়ক পাকাকরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কমকর্তাদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এলজিইডির অধীনে উপজেলার খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের ঢোলভাঙ্গা বাজার হতে গাছুর বাজার মিস্ত্রি পাড়া পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরণের কাজে নিন্মমানের রেডিমেট খোয়া ব্যবহার ও বিট বালুর বদলে মাটি মেশানো নিন্মমানের বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে সংবাদ প্রকাশ হলে চতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে নিন্মমানের রেডিমেট খোয়া গুলো দৃশ্যমান হওয়ায় উক্ত খোয়া গুলো মাটি মেশানো বিট বালু দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩ হাজার ২’শ মিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য ৩ কোটি ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। রফিক কনষ্ট্রাকশন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ইটভাটা থেকে বিভিন্ন শ্রেণির রেডিমেট খোয়া ক্রয় করে উক্ত রাস্তায় ডাব্লিউএমএম কাজে ব্যবহার করছে।

স্থানীয় জনসাধারণ জানায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তায় নিন্মমানের খোয়া ও মাটি মেশানো বালু ব্যবহার করে তার উপর দিয়ে সামান্য পরিমানের ভালো খোয়া ছিটিয়ে রোলার করছে। বিভিন্ন ইটভাটার রেডিমেট খোয়া ব্যবহার না করে ইট ক্রয় করে রাস্তায় এনে ইট ভেঙে খোয়া ব্যবহার করার দাবী জানান। তাই এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন জানান, আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানসম্মত ভাবে সড়কের কাজটি আমরা করতে পারি এজন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মেনাজ জানান, স্থানীয় একটি মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে না পেরে তারা প্রতিনিয়ত হয়রানি করতে গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা সঠিক ভাবে কাজ বুঝে নিচ্ছি। অপর দিকে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, যে কোন মুল্যে কাজের মান ভালো করা হবে। সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরআই/এএস/এপ্রিল ১০, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test