E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাহদুরপুর  উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

২০২৩ মে ০১ ২৩:৫৫:০৯
বাহদুরপুর  উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

বিপুল কুমার দাস, রাজৈর : সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের বাহদুরপুর  উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।প্রধান শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র ভক্ত ও বর্তমান সভাপতি কমলেশ ভক্তের বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ম্যানিজিং কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ও স্থানীয় সুত্রে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,বর্তমান সভাপতি প্রভাবশালী হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পায়তারা করেন। উল্লখ্য তফসিল ঘোষণা মনোনয়ন পত্র ক্রয় এবং জমাদান (২৪-এপ্রিল-২৩ইং) থেকে (২৬-এপ্রিল-২৩) ইং তারিখ ও মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই ২৭ এপ্রিল, প্রত্যাহার ৩০ এপ্রিল,১৩ মে ২৩ইং নির্বাচনের দিন ধার্য থাকলেও  মনোনয়নপত্র বিক্রির তিনদিনের দুইদিনই প্রধান শিক্ষক অত্র প্রতিষ্ঠানের কাজে বাহিরে থাকেন তার অনুপস্থিতিতে কাউকে দায়িত্ব না দেয়ায় শেষের  দিন সকালে অভিবাবকরা পুনরায়  মনোনয়ন পত্র ক্রয় করতে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন একটু অপেক্ষা করতে হবে। এমন নানান তালবাহাবানা করেন।

বিকালে যখন সময় শেষ হওয়ার পুর্ব মুহূর্তে অভিভাবকদের প্রধান শিক্ষক জানান, মনোনয়ন পত্র শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষা অফিস থেকে ক্রয় করুন।এ সময়ের মধ্য  মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা যাতে না দিতে পারি। সেই জন্যই প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান সভাপতি এ ধরনের ষড়যন্ত্র ও অনিয়মে লিপ্ত হয়েছে।

অভিভাবক সমীর বাড়ৈ বলেন, আমরা যাতে ম্যানিজিং কমেটির নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারি এজন্যই গোপনে অবৈধ নির্বাচন করার চেষ্টা। এর বিচার চাই।

একি এলাকার অভিবাবক রিপন বাড়ৈ বলেন, আজকে মনোনয়ন পত্র কেনার শেষ দিন সাড়াদিন ঘুড়াঘুরি করে বিকালে বলে মনোনয়নপত্র শেষ। এর অর্থ কি এধরনের অনিয়মে লিপ্তদের শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র ভক্ত কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,দুইদিন অফিসের বাইরে ছিলাম ফলে মনোনয়নপত্র দিতে পারিনি আজকে তো অনেকেই নিয়েছে। এখন আর ফর্ম নেই। তাই দিতে পারিনি। কিন্তু নির্বাচন পক্রিয়া যথাযথ নিয়মেই চলছিল।

বর্তমান সভাপতি কমলেশ ভক্তের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা এবং বানোয়াট।

বাজিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মো:রায়হান কবির বলেন, প্রশাসন বলা সত্যে ও অন্যায়ভাবে অভিবাবকদের মনোনয়ন ফর্ম দেয়া হয়নি। সত্যি এটা একটা অপরাধ। আবার শুনলাম কেউ কেউ বলছে কমেটি করা নাকি হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হাবিব উল্লাহ খান জানান, আমরা এধরনের অভিযোগ শুনেই এসেছিলাম তারা বলছে আমরা মনোনয়নপত্র বিক্রি করছি তবে কোন অনিয়মের প্রমান পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

মাদারীপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন জানান, আশা করি স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে।

(বিডি/এএস/মে ০১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test