E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

পলিথিন জাকিরের অরাজকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

২০২৩ মে ০৯ ১৯:৪৭:২৩
পলিথিন জাকিরের অরাজকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ, সোনারগাঁ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন ওরফে পলিথিন জাকিরের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও স্থানীয় জনগণকে হয়রানী, বন্ধে এবং উপযুক্ত বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান-উল- ইসলাম বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সোনারগাঁ উপজেলার কান্দারগাঁও গ্রামের মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন। বেঁচে থাকার তাগিদে একসময় মাছ বাজারে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করত বলে সবাই তাকে 'পলিথিন জাকির' নামেই চেনে। পরে মেঘনা ঘাটে হকারির পাশাপাশি এলাকায় বালু ভরাট ও দালালিও চালিয়ে যান সমান তালে। পরবর্তীতে 'সোনারগাঁ রিসোর্ট সিটি' নামে একটি আবাসন প্রকল্পের জমি ক্রয় ও বালু ভরাটের দায়িত্ব পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাকির।উপজেলা যুবলীগের হাত ধরে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদটি ভাগিয়ে নেন তিনি। এরপর থেকেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে জাকির, শুরু হয় তার দখল বানিজ্য। সাধারণ মানুষের জমি দখল,ভুয়া দলিলে জমি বিক্রি এবং বালু ভরাটের টেন্ডারবাজি করার পর তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। জাকির তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে সৈকত হোসেন, মিজানুর রহমান, সজীব মিয়া, কাইল্যা শাহ আলী ও শাহীন হোসেনের নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান থেকে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কার্যকলাপ করে থাকে। এই সব কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী কয়েকবার মানববন্ধন করলেও প্রশাসন থেকে এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য যে, দুটি হত্যা ও নৌ- চাঁদাবাজিসহ প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামি পলিথিন জাকির ২০১২ সালে রিপন হত্যা, ২০১৪ সাথে সাধন হত্যা ও ২০১৫ সালে গোলজার হত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি খুন হয় জাকিরের সকল অপকর্মের সাক্ষী ভাগিনা মোহাম্মদ আলী। ভাগিনা মোহাম্মদ আলী হত্যার মামলার ভয় দেখিয়েও সে কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে।

বৈদ্যের বাজার এলাকার খেয়াঘাট এলাকায় গিয়ে জানা যায়,মেসার্স পিয়াল এন্টারপ্রাইজ নামে বৈদ্যের বাজার থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত ইজারা নেন জাকির। অতিরিক্ত চাঁদাবাজির কারণে তার ইজারা বাতিল করা হলে কান্দারগাঁও ও যুব কল্যাণ সমিতির নামে আবারও ইজারা নেওয়া হয়। একই অভিযোগে তা বাতিল হলে পুনরায় ইজারা পায় কান্দারগাঁও গ্রামের একতা সংঘের সভাপতি আমজাদ হোসেন। কিন্তু ইজারার নিয়ন্ত্রণ থাকে জাকিরের হাতেই। ইজারা বাতিল হলেও জোরপূর্বক নৌপথে চাঁদাবাজিও করতেই থাকে জাকির। সোনারগাঁ উপজেলায় নৌপথের চাঁদাবাজির একচ্ছত্র অধিপতি এখন জাকির।

এ সব অরাজকতা বন্ধে ও তার বিচারের দাবীতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সকল ইউপি সদস্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় স্বারকলিপি প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান-উল-ইসলাম জানান,জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সকল ইউপি সদস্যদের স্বারকলিপি গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (নারায়ণগঞ্জ) কে অবগত করে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসএএইচবি/এএস/মে ০৯, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test