E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজবাড়ীর উন্নয়নে জিল্লুল হাকিম জাদুরকাঠি

২০২৩ মে ১৬ ১৩:৫৭:০০
রাজবাড়ীর উন্নয়নে জিল্লুল হাকিম জাদুরকাঠি

এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাদের মধ্যে একজন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি (রাজবাড়ী -২), যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মেধা, সততা, সদিচ্ছা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নির্বাচনী এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন দুর্বার গতিতে।

অবহেলিত রাজবাড়ী জেলার পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালীকে উন্নয়নের রোল মডেল এবং বহুমাত্রিক উন্নয়নের স্রোতধারায় উদ্ভাসিত করতে তিনি কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিয়েছেন বহুমাত্রিক প্রকল্প।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এক সময়ের অবহেলিত ও উন্নয়নের মূল স্রোতের বাইরে থাকা অনুন্নত জনপদ রাজবাড়ীকে (পাংশা,বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) আজ সমৃদ্ধ ও উন্নত জেলায় পরিণত হচ্ছে। তিনি নিজ নির্বাচনী আসনের গন্ডি পেরিয়ে রাজবাড়ী জেলার উন্নয়নের চিন্তা করেন যার প্রতিফলন দেখা যায় তার প্রতিটি কর্মকান্ডে।

শিক্ষানুরাগী প্রখ্যাত এই মানুষটি রাজবাড়ী (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) জেলাকে শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত করতে এবং শিক্ষার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন অবকাঠামোর সংস্কার ও নির্মাণকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারই হাত ধরে প্রত্যন্ত পাংশা উপজেলার সরিষাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সরিষায় সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ হয়েছে। তিনি এতদঞ্চলের মানুষকে দিয়েছেন একাধিক সরকারি কলেজ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং বহু বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা।

উন্নয়নের প্রাণভোমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) আসনকে আধুনিক বসবাসযোগ্য নিরাপদ ও ছায়া সুনিবিড় সবুজ শ্যামল শহর হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করাতে প্রতিটি শহরে শহরের প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভসহ বিভিন্ন স্থাপন করছেন।

শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপির প্রচেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই স্বাস্থ্যখাতে। গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার বড় আশ্রয়স্থল উপজেলা হাসপাতালগুলোকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকল্পে জোরালো ভূমিকা রাখছেন।

রাজপথের লড়াকু সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম শুধু নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নেই সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দেননি, রাজপথ, সংসদ ও রাষ্ট্রের ক্রান্তিকালে নিজ জীবনের ঝুঁকি নিতে পিছপা হননি। ছাত্রজীবন থেকে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সব সময় গণআন্দোলনের সম্মুখ কাতারে থেকেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম একজন স্পষ্টভাষী ঋজু বিভিন্ন বিরোধিতার মুখেও নিজ কর্তব্যে দৃঢ় একজন উচ্চ মার্গের রাজনৈতিক নেতা।

১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য হয়ে সবার নজর কাড়েন। দীর্ঘদিন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আশার আলো জাগিয়েছেন যুব নেতৃত্বের। দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি বরাবরই জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্নেহধন্য ও প্রশংসনীয়। তারই স্নেহের আশীর্বাদস্বরূপ গত মেয়াদেও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান।

মাটি ও মানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার আনান্দবাজার গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মো: আবুল হোসেন নিজেও ছিলেন একজন সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী। আদর্শ বাবার আদর্শ ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম সব সময় চেষ্টা করেন নিজ এলাকাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের নানা সমস্যা সমাধানের। তার এই সহযোগিতামূলক মনোভাব আমাদের করেছে গর্বিত এবং আশীর্বাদপুষ্ট। নিজ নিজ এলাকা উন্নয়নে সাংসদরা হোক উন্নয়নের জাদুরকাঠি।

(একে/এএস/মে ১৬,২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test