E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কর্ণফুলীতে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ

সিডিএ দোকান ভাঙেনি, ভেঙেছে গরিব মানুষের স্বপ্ন

২০২৩ মে ২৬ ১৫:৩৩:১৩
সিডিএ দোকান ভাঙেনি, ভেঙেছে গরিব মানুষের স্বপ্ন

জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার ব্রিজঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা পুনরায় তাদের স্ব স্ব দোকানঘর ফেরতের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন। কেননা, বিনা নোটিশে তাঁদের দোকানঘর গুড়িয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ)।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রায় দুই’শ ব্যবসায়ী ও তাদের পারিবারের সদস্যরা এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন। ব্রিজঘাট কাঁচা বাজারের সামনে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হক গতরাতে ঢাকা থেকে ফিরে উচ্ছেদকৃত জায়গা পরিদর্শন করে ভূমি মালিক আনোয়ার সাদত মোবারক কে সাথে নিয়ে তাঁদের নেতৃত্বেই এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছৈয়দ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক কালাম আহমদ রাজা, কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দীন হায়দার, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হক, যুগ্ন সম্পাদক আলাউদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর বাদশা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাশেদ রানা, জমিদার ও ব্যবসায়ী এবং চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার সাদাত মোবারক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শাহারিয়ার মাসুদ, ছাবের আহমদ, আনোয়ার হোসেন সওদাগর, হাজী রহমত আলী, হাজী মনির আহমদ, হাজী আলী আহমদ, দুই বাজার সমিতির সভাপতি জাহেদুর রহমান ও সাহাব উদ্দিন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাশা বেগম নিশি, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রোকন উদ্দীন, বাদশা মিয়া বাদল, যুগ্ন সম্পাদক আজগর পাপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমরান পাটোয়ারী ও রুবেল খাঁন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ সুমন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাহ উদ্দিন সাদ্দাম।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকগণ দাবি করেন, সিডিএ’র জমিতে ব্যবসায়িরা অবৈধ ভাবে দোকান করেনি। অনেকেই জমির মূল মালিক থেকে ভাড়ায় দোকান নিয়েছেন। সিডিএ সংস্থাও অনেকের কাছ থেকে তিনশ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়েছেন। তারপরেও বিনা নোটিশে তারা এভাবে উচ্ছেদ করতে পারেন না। সিডিএ ভাসমান সেতু করার জন্য এলএ মামলা নং-১২/৬৭-৬৮ সালে জমি অধিগ্রহণ করলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেনি। সুতরাং জমির মূল মালিকেরা তাঁদের জমি ফেরত চান।’

এছাড়াও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতারা বলেন, ‘হঠাৎ উচ্ছেদে প্রায় ৩শ’ ব্যবসায়ী পথে বসেছেন। তাদের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। সিডিএ দোকান ভাঙেনি, ভেঙেছে গরিব মানুষের স্বপ্ন। আমরা বিষয়টি ভূমিমন্ত্রী মহোদয়কে জানাবো। জাতীয় নির্বাচনের আগে কাদের ইন্ধনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের পেটে লাথি মেরেছে? কেন উচ্ছেদ করেছেন? আমরা এই অনিয়মের বিচার চাই। এই দোকান ঘর উচ্ছেদের নামে ৩ কোটি টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে জামানতের টাকা, দোকানের ডেকোরেশন ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল বাবদ অনেক ক্ষতি হয়েছে। সিডিএ কে সবাইকে পূনর্বাসন করতে হবে।’

সিডিএ নির্মাণ বিভাগ-১ এর প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ ও সিডিএর এস্টেট শাখার অফিসার মো. আলমগীর খান বলেন, ‘সিডিএ’র পরিকল্পনা রয়েছে ব্যবসায়িদের জন্য স্থায়ী কিছু দোকান ঘর নির্মাণের।’ অপরদিকে, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সিডিএ’র উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মূলত উপজেলা ও ডিসি অফিসের (Resume) খাস সমস্যা কাটিয়ে উঠতে এসব উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

(জেজে/এএস/মে ২৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test