E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধামরাইয়ের চাঞ্চল্যকর দানিশ হত্যা মামলা

১২ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী জিন্নাত গ্রেফতার

২০২৩ মে ২৬ ১৭:৫৯:০৪
১২ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী জিন্নাত গ্রেফতার

দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস দল ২৪ মে ২০২৩ তারিখে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন উলাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধামরাইয়ের চাঞ্চল্যকর দানিশ (১৪) অপহরণের পর হত্যা মামলার দীর্ঘ ১২ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জিন্নাত আলী(৩৮)কে গ্রেফতার করেছে ল্যাব -৪।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ কালে ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,২০০৯-১০ সাল হতে আসামী মোঃ জিন্নাত আলী নেতৃত্বে জিন্নাত গ্যাং নামক একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ঢাকা জেলার ধামরাই এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ এক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৮/০৯/২০১০ ইং তারিখ গ্রেফতারকৃত আসামী জিন্নাতসহ তার গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যের মাধ্যমে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কুশুরা ইউপিস্থ কাশিপুর গ্রামের দানিশ (১৪) নামের এক কিশোরকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার পরিবারের নিকট মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে।

ভিকটিমের পরিবার আর্থিকভাবে বেশি স্বচ্ছল না হওয়ায় তারা গ্রেফতারকৃত আসামীর দাবিকৃত অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। যার প্রেক্ষিতে তারা স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহতি করে। ভিকটিমের পরিবার মুক্তিপনের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

অপহরণকারীরা ভিকটিম দানিশের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে আসামি জিন্নাতসহ অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় থানা পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ভিকটিম দানিশের লাশ খুঁজে পায় এবং উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা শোভা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এরই প্রেক্ষিতে ধামরাই থানা পুলিশ কর্তৃক আসামী জিন্নাত ও তার একাধিক সহযোগীকে গ্রেফতার করলে পরবর্তী বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারকার্য চলাকালীন ১৮ মাস কারাভোগের পরে শর্ত সাপেক্ষে গ্রেফতারকৃত আসামী জিন্নাত জামিনে বেরিয়ে আসে। পরিশেষে বিজ্ঞ আদালত গত ২০২২ সালে দানিশ অপহরণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী জিন্নাত আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

আসামীর বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে লোক চক্ষুর আড়ালে সে আত্মগোপন করে। বিভিন্ন নময়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে গার্মেন্টসে চাকুরী ও রিক্সাচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতো।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে র‌্যাব ৪ এর প্রেস নোটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

(ডিসিপি/এসপি/মে ২৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test